হে ধরণী মায়াবী কেন
গোপনতায় রূপ যে ঢাল
ছন্দে ছন্দে পলে পলে
আপন সাজে মাধুরী জাগায়।
সজীবতা হরে মলিনতা আন
তপ্ত নিঃশ্বাস বায়েতে ভরো
আশা তবু জিইয়ে রেখে
গ্রীষ্ম দিয়ে পরীক্ষা কর।
শ্যামল মাতৃকার মূর্তি গড়
সবুজতায় ভরিয়ে তোল,
আশার বীজ অঙ্কুরিত কর
বর্ষা রাণীর স্নেহের পরশে।
মেঘের ভেলা নীল গগনে
হিমেল বায়ে উড়ে চলে
শুভ্র চামর দুলতে থাকে
শরৎ কালে নদীর চরে।
মাঠে মাঠে সোনার ফসল
মাথা নাড়িয়ে খেলা করে
হাল্কা হাল্কা শীতের নেশায়
হেমন্ত লক্ষ্মী ঘরেতে আশে।
শীতল প্রাণ উষ্ণতা খোঁজে
চেয়ে থাকে সূর্যি পানে
প্রকৃতি মাঝে গোপন প্রেম
শীতের চাদরে জড়িয়ে থাকে।
নব রূপে প্রকৃতি সাজায়
পুষ্পে গন্ধে কানন ভরায়
রক্তিম প্রেম জাগিয়ে তোল
বসন্ত রাগে পলাশ ফুলে।