চোখের জল হল সারা রাত্রির গহন অন্ধকারে
বুকে জমে থাকা জমাট রক্ত হিমালয়ের চেয়েও দুর্গম
চোখের নিচে জমে থাকা কালি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে নেওয়া
অস্ফুট সে সব কথা হারিয়ে যায় পৃথিবীর কালো গহ্বরে,
কোন দিন ফিরে আসেনা আলোর খোঁজে।


ব্যর্থ আমি পারিনি জীবনকে জয় করতে
ভাবে ভরা প্রাণ আছাড় খেল কঠিন পাথরে
রক্ত ঝরল বুক ফেটে সিক্ত কালো হল কঠিন পাথর
কিন্তু গলল না।
পারলাম না!


হারালাম সকল সুখ, ধরিলাম তোমারে
পরিলাম কাঁটার মুকুট, খেলাম নীল গরল।
তুমি তো গেলে চলে অবহেলে অবশেষে স্বর্ণালঙ্কারে
গগনচুম্বী রথে চড়ে , কি অপরূপ সাজে জ্বালিয়ে বক্ষ খানি।
ঠিক যেন গিরিরাজের তুষারের ন্যায় তোমার শুভ্র মুখ
সমুদ্রের নীল জলের মতো তোমার শান্ত চোখ
মরুভূমির তপ্ত সোনালী বালুকার মতো তোমার নিশ্বাস
তোমার চুল গুলি যেন অমাবস্যার কালো রাত্রি থেকে ধার করা।


চলো গেলে ! চলে গেলে তুমি আমার হৃদয়ের উপর দিয়ে
মাড়িয়ে গেলে আমার ভালোবাসা, ঝরা পাতা মনে করে।
কি যে ব্যথা ! ভুলিতে পারিনি আজও,
মরণে হয়তো ভুলিব সে কথা।


ভেবনা বন্ধু কোন দিনই দ্রোণাচার্য হব না আমি
এই করিলাম পণ-
ভাঙা মন, ভাঙা কপাল!
শেষ হল পূর্ণিমা রাত্রি, শুরু হল যাত্রা মোর
অমাবস্যা পানে-
পালে নেই হাওয়া জলে নেই স্রোত
দাঁড় টানবার সময় হয়েছে আজ।