সরস পরশ জাগায় হরষ আষাঢ়ের আগমন
মধু সম্ভাষ ধরণীর হাস দোঁহে করে আলাপন ।
শিল্পী যেমন তুলিকা হাতে ঢেলে দেয় প্রাণ চিত্রলেখাতে
তেমনি আষাঢ় দিতেছে ঢালিয়া প্রাণ হরিতের ধরণীর পাতে ।
মাটির সোঁদা সোঁদা গন্ধ , মাতাল মন কে দেয় আনন্দ
যেদিকে তাকাই আশার বাণী নবীন সৃষ্টি নবীন ছন্দ ।
রুদ্রপ্রতাপে নাচিছে প্রকৃতি , আকুল করিছে পুরাতন স্মৃতি
কিষাণ কিষাণি হরষিত মন হাসি মুখে করে বরষাবরণ ।
পেয়ে অবিরাম জলধারা , হয়েছে ক্ষীনতনু নদী কু্ল হারা
ফিরে পেল তার পুরোনো রূপ খুশীতে সে পাগল পারা ।
যতেক রয়েছে বৃক্ষলতা তাদের মুখে আশার কথা
হাসছে তারা মধুর হাসি গেছে দিন দুঃস্বপ্নে ভরা ।
সদ্য স্নিক্ত ধরার গায়ে বায়ু দিল পালক বুলায়ে
শিহরিত অঙ্গ তারি কালো মেঘের খেলা গগন গায়ে ,
দূর ঐ গ্রামের বধু ফেলছে নয়ন বারি শুধু
আসবে কবে প্রিয় ফিরে নাচবে হৃদয় তারে ঘিরে
মনে মনে করে তারে স্মরণ  করবে কে তার অশ্রুহরণ ।