পদ্য লিখি না গদ্য হয়েছি যে কবি সদ্য ,
সবে একুশে দিয়েছি পা জীব্ন যে অনবদ্য।
চোখে স্বপ্ন রাশি রাশি ভাব্না জোয়ারে ভাসি,
পুরাতন দেখে বলে গোল্লায় গেল ধরা -
ধরার করেছে শ্রাদ্ধ ।।
মোদের  কানেতে তালা, কেটেছে সে সব কাল-
তোমরা ছিলে প্রবল , এখন মোদের পালা,
পারো নি তোমরা লাজে , হাত দাওনি যে সব কাজে ,
মরমে মরেছ তবু ভালোমানুষটি সেজে,
নাটক চিরটা কাল  করে হলে বেসামাল।
তবু সভ্যতার বুলি বলে নিজেরে করেছ বাধ্য।
আজ মোরা যদি ভেঙ্গে ফেলি, যে দেয়াল ঘিরেছ তুলি
তোমরাও একদিন যারে করিতে চেয়েছ ধুলি,
যারে ভাঙ্গিতে গিয়ে তোমরা সমাজের কাছে জব্দ।
তবে দাঁড়াও কেন সামনে , (থামাও ) বিদ্রোহী নব যৌবনে -
যে উদ্যত সব ভেঙ্গে চুরে, মেটাতে সকল ধ্ন্দ।।
তোমরা দেখনি চেয়ে , কে আশেপাশে যায় ধেয়ে-
কে বা কারে দিয়ে গেল গালি, কে বা কারে নিল ছলি,
সে সকল দিন গত, আমরাও পাঠ র'ত-
কারা খুশীতে উঠেছে মেতে, কে পায় নি দিবসে খেতে,
সব হিসাব রাখিয়া শেষে জমা খরচ মেলাব এসে-
তোমরা বলিবে না না, এ সব মিছে ভাব্না,
নিজেরটুকু বুঝে , আরামসে ঘরে থাক না।
শুনব না কোনো কথা, যায় যাক প্রাণ মাথা,
তবু শিখিয়ে পড়িয়ে হীনে ঠগেরে করিব জব্দ।।
যেথা কেঊ কারো হরে বেচে থাকার অধিকার ও
অধম করিয়া রাখে যে , দিন ঘনাল আজকে তারো।
আমরা ছুটিয়া যাবো , সেথা সাম্যের গান গাব,
জাগাইব মরা প্রাণ , তাদের দাবীতে গলা মেলাব-
মোদের জগতে না রবে  উঁচু নীচুর কিছূই ভেদ,
ধনী গরীবের না রবে মনের খেদ,
ব্ড় ছোটো, দীন-দূঃখী ,মানুষের বুজরুকী
অন্যেরে নীচু ভেবে কেঊ না হইবে সুখী।
হেথা সকলেই বরাবর , কেউ রাখে না জাতের খবর,
রক্ত মাংসের সবে মানব , কেউ নয় কো আপন পর।
আমাদের অভিধানে শুধু রয়েছে প্রেমের কিছু শব্দ।।
জগতের য্ত জঞ্জাল , আছে সকল করিতে শেষ-
আমরা ধরিতেও পারি এমন অগ্নিবেশ,
জ্বলে পুড়ে যাবে যতেক কালীমা , তখন তার শিখায়,
য্ত পাপী দুরাচারী সকলে হইবে স্তব্ধ।।