শ্রমিক দিবস
বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় (পুলক)


সারা বছর শোষন করে মানাও পয়লা মে -
বড় বড় বুলি সভা হতে দাও ওরা যেন বোঝে না যে ?
ওরা সিধেসাধা খেটে খাওয়া লোক বোঝে কি অধিকার
বোঝে একটুকরো কোমরে কাপড় আর ক্ষুধায় দুটো আহার ।
ওরা ভোলানাথ অল্পেই খুশী সব গরল করবে পান
ধোঁয়া ধুলো আর রোগ ব্যাধি সয়, শুধু কব্জির বলে বলীয়ান
ওরা ভাঙ্গবে পাথর, নামবে পাতালে, পাহাড় করবে চুর -
তবু নিজের মজুরী চাইতে ওদের বুক করে দুরদুর ।
ভাবে যে কাজ করল সে কি খুব দামী হবে কি এতই পাওনা !
তোমরা বেশ বোঝো ওদের কাজ মহার্ঘ তবু হকের মজুরী দাও না ,
ওরা রামদাস নিজের বোঝে না গরিমা করে চলে শুধু কাজ
ঠকাও ওদের, চিনতে দাও না শক্তি এ ভাবে চালাও রাজ
বছরে এক দিন মে মাসের পয়লা ওদের শোনাও গান
নামেই সেটা শ্রমিকদিবস, তোমাদের কীর্তির জয়গান ।
বুঝবে সেদিন যেদিন ওরা জানবে আপন বল
ঠেলার নাম বাবাজী খাটবে না তো ছল।
সহ্যের যদি ছাড়ায় সীমানা দেওয়ালে ঠেকে পিঠ ,
ঠিক ওরা বুঝবে হক, লাগবে খিটমিট ।
ওরা ফলাবে ফসল নামবে খাদে পথে ঝরাবে ঘাম
আর থাকবে পথে অনাহারে পাবে না শ্রমের দাম?
ঐ শোনো রব আকাশে বাতাসে জাগছে ওরা জাগছে
কৃষক শ্রমিক দিনমজুর সকলে নিজ অধিকার মাগছে ।
শিক্ষা স্বাস্থ্য বসন আবাসে ওদেরও রয়েছে হক,
মেটাও পাওনা নয় বন্ধ করো শ্রমিকদিবস নামের এই নাটক ।