জন্মদিনে শরৎচন্দ্রকে ঃ-
                  তব জন্মদিনে গায় তব জয়গান
                   তুলে  ধরি ধৈর্য্যে ভ রাজীবনের উথ্থান
                   করে দেখালে, করলে দুখ অবসান ।
                   অনাথ আতুর আর যারা ভাগ্যের  শিকার
                   তারাই দেখি চরিত্র হল তব রচনার ।\
                    ঘোচাতে পারনিি জানি তাদের চোখের জল
                    তাতে মিশিয়েছ তাই  তোমার আঁখির জল ,
                   জানিনা কেন জানতে জাগে কৌতুহল
                   আর মন হয় অহেতুক ভাবনায় বিকল ।
                    রাজলক্ষী অভয়ারা কাঁদে রোজ রাতে
                      গোপনে  আপোষ করে ভাগ্যের সাথে,
                   রমা.পার্বতী আমিনারাও দেয় ততে সাথ
                   তাদের দুঃখ ঘোচাতে  জাগে তব সাধ ।
                    কিন্তু যার ভাগ্য তাদেরই মত ভাঙা
                     সে তাই ক্ষোভে নয় নিত্য রক্তরাঙা ।
                   তাদের মত সবার দুখের ভাগীদার হতে
                   রোজ জানি কাঁদ তুমি গোপনে নিভৃতে ।
                 তোমার শ্রীকান্ত.দেবদাস  আর  চুীনীলাল
                রমেশ ,বিপিন ও সব্যসাচীরাপ্রেমের কাঙাল ।
                 দুঃখ তবু তারমাঝে ইন্দ্রনাথে নাই কসুর
                হাসি কান্নায় ছড়াতে সম্প্রীতির মিঠে সুর ।
                  এভাবেই ভাঙাগড়ার চাপে দেখি সংসার
                  মানুষের  হৃদয়ে তবু ঢেউ তো ল বারবার ।
                  কংগ্রেস নেতা রূপে ব্রত হলদেশসেবার
              হে মরমী লেখক লহ মোর বিনম্র নমস্কার  ।(১৫১১৫/৯/১৮৭৬ )
……………………………………………………………..