জীব                
             হে কবি তোমার চেনালোক শুধু বনলতা সেন
             আমরা কেউই নই কবি,সকলেই অচেনা কেন ।
              বোধহয় তোমাদের দুজনের অভিন্ন শরীর
              মনেও তাই বুঝি ধরে নিক কোন চিড়,
              কখনো তা হয়েছে যে পাখির নীড়
              আর সেখানেই জানি জীবনানন্দর মন
               খুঁজে চলেছে দেখি প্রতিদিন অনুক্ষণ
              পাখির ডিমের খোলা সাপের খোলস ,
              নিথর জলের নীচে চিতল কী কালবোস
              হাঙরের পেট ভরবে কিসে,ভেবে অস্থির
              তখন নদীতে ভেসে উঠে কোন মানবশরীর ৷
             এিকে বনলতা শরীরে নিয়ে ইলিসের ঘ্রাণ
             ঘরে ঘরে আনে যেন এক নতুন প্রাণ ।
             পৃথিদীতেও আসে দেখি এক ,নতুন রূপ
             সুখ আছে শান্তি নাই বোধ সব নিশ্চুপ ।
             ‘রূপসী বাংলার ‘ ‘ধানসিঁড়ি মাঠে’
             সকলেই দিল মন নিত্যি নূতন পাঠে ,
              গ্রমে গঞ্জে নাটক হল যেই শেষ
              ফিরে গেল সব চেনা দববেশ,
              রেখে গেছে শুধু ‘ধুসর পান্্ডুলিপি’
              তাই কীর্তিনাশার বুকে জেগেছে ঢিপি
              এভাবেই চলে ভাঙাগড়ার কাজ
              আর তোমরা পড়েছ নতন সাজ
              ট্রামের নীচে পড়ে হয়ে গেলে লাস
              আর সেখানেই শেষ সব বিশ্বাস
              তোমাদের নিয়ে রচা সব অভিলাস ৷
            তব মৃত্যুদিনে নয় তাই বিল্মরণ
             মৃত্যহীন হয়ে লহ অভিনন্দন ।