বিদায়ের কালে মা দিলেন যে প্রতিশ্রুতি
       শীঘ্র লক্ষীরে তিনি পাঠবেন ঘোচাতে সব দুর্গতি ;
       সেইমত লক্ষী এলেন আজ লক্ষীছাড়া এ দেশে
       কিন্তু তারে বরণ করে গুটিকয়ে দেখি ভালবেসে ৷
       মোরা ঘরের লক্ষীর দিনযাত্রার রাখিনা কোন খোঁজ
        দুঃখে কষ্টে  কেমন করে কাটে তাদের রোজ
        লক্ষীছাড়া হয়ে মোরা ঘটাকরে লক্ষীপূজা করি
         কাজ হারিয়ে ব্যবসা খুইয়ে লক্ষীর পায়ে পড়ি ।
          নেশা ক’রে ঘরে ফিরে বৌয়েরে রোজ  পিটাই
          তারাই আবার ভক্তিভরে বসে লক্ষী-আরাধনায় ।
প         দেবী কি তুষ্টা হন বার্ষিক এ ভন্ড লক্ষীপূজায় !
         তবুও দূর্মূল্য বাজারে নানা উপাচারে বসেসে পূজায়
         বিনিদ্র রজনী কাটে তার সম্পদবৃদ্ধির কামনায় ৷
         অন্নপূর্ণার কন্যা হয়ে লক্ষী দেন সবে  আ্রহার
        সম্পদ দিতে তিনি করেন  সুন্দর স্মূক্ষ্ন বিচার ।,
        সত্য ও ন্যায়ের পথে যারা করেন বিচরণ
        সম্পদে ভরা তার ভান্ডার থাকে আমরণ ৷
        সম্পদ গড়তে ব্যস্ত তাই সব ভন্ড ধার্মিক
       দুরূহ তাদের লক্ষীলাভ  পূজিলেও তাঁরে দৈনিক৷
       ঘরে বাইরে লক্ষীরা না পেলে সঠিক সম্মান
       রাতজাগা লক্ষীপূজায় হয়না কোন উথ্থান ৷