নজরুল
                     দহণ কালের কবি তুমি দহণ তোমার অন্তরে          
                    দহণ জ্বালা দেখলে তুমি গাঁ গঞ্জের ঘরে ঘরে ।          ,
                    জ্বালালে শিখা মনে মনে লিপির যাদু মন্তরে            
                   তুমি এলে মহাকাল ফারি ,চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
                    এলে দুর্বলের পাশে অনাচার নাশে রণ হুঁঙ্কার ছাড়ি |        
কক                   তাইতো তোমাকে ঘরে ঘরে বলে দুখের কান্ডারী ।                
                   দুখীর ঘরের ছেলে তুমি প্রিয় |দুখু মিঞা মানি কাজী |          
                   সবে বল বেদনার যূগ |তাই সাম্যের যূগ আজি |            
                   কেহ রহিবেনা বন্ী কারো |নইলে উঠবে ডঙ্কা বাজি ।      
                   দহণ কালের কবি তুমি  দহণ যে তোমারই বুকে
                   তাই বল “অমর কাব্য তোমরা লিখিও ,যারা আছ সুখে        
                   বন্ধুগো আর বলিতে পারিনা ,বড় বিষ জ্বালা এই বুকে “      
                  তুমি এসেছিলেধর্মের বেড়া ভেঙ্গে ,বুকে নিয়ে ঝ্বালা,      
                বলতে “খোদার ঘরে কেকপাট লাগায়  কেদেয় সৃখানে তালা ?      
                  সব দ্বার ওর খোলা রবে ,চালা হাতুড়ি শাবল চালা “                        
                 সচেতন তুমি মান না মানুষের গড়া ঝুটা কানুন              
                 কারণ “ক্ষুধাতুর শিশু চায়না স্বরাজ ,চায় দুটো ভাত ,একটু নুন ,”     ,
                পেটে মুখে শরীর জুড়ে তার বুকে জ্বলে যে শুধু আগুন , ।      
                দহণ কালের কবি বলে দাবদহে জ্াগাও কোলাহল ,            
                মুখে বল “এমনি করিয়া জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল |          
                হাতে হাত মিলে ,মুখে ধ্বনি তুলে ,উদয়ের পথে চল “।                                                      
               দহণ জ্বালা তব শিরায় শিরায় ,দহণ শিখা দেখ চারিপাশ ,      
              তাই বল”প্রার্থনাকর যরা কেরে খায় তেত্রিশ কোটির মুখের গ্রাস ,
                                    যেন লেখা হয় আমার রক্ত লেখায় তাদের সর্বনাশ ।