তোমাকে ছুটি দিলাম
আমার মনের অন্ধ প্রেম হতে  
অতি সূক্ষ্ম মাকড়সার জালের মতো
যে অন্তর দন্দ ছিল,
ভারি কঠিন পাথরের মতো;
প্রতিনিয়ত হৃদয় দংশন করতো অজান্তেই-
তাকে চিরতরে বিদায় দিলাম।
তোমাকে হারানো যন্ত্রনা হয়তো
হৃদয় ব্যথিত করে তুলবে!
অবুঝ শিশুর মতো!
তবু ভুলে থাকতে হবে সবকিছু
যেখানে মন বিশুদ্ধ জল আলো বাতাস
পাবে না ,
সেখানে দুটি মন কখনও বেঁচে থাকতে পারে না।
এক ছাদের নিচে।
তুমি বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে
আমার ছোট্ট ছোট্ট খুনসুটি,
ভালোবাসার মধুর মুহূর্তগুলো
বেমালুম হজম করে
নির্লজ্জের মতো আমার দিকে আঙুল তুলে
রক্তচক্ষু দেখিয়ে বলবে
এ লোকটি আমার জীবনটাকে
দুর্বিসহ করে তুলেছিল এতোকাল!
আমি বিষ্ময়ভরা চোখে শুধু দেখব!
আর ভাবব শুধু-
এই দুটি হাতের স্পর্শে
যে প্রেমের গাছটাকে
সযত্নে লালন পালন করেছিলাম,
তা আজ বিষ বৃক্ষ হয়ে-
জলবিচুটির মতো আমার হৃদয়ে
চাবুক মারছে কেমন হিংস্রতায়!
স্বার্থপরতার শেকলে বাঁধা
এই ঘৃণ্য মনটাকে দেওয়া মতো
পড়ে থাকে শুধুই করুণা আর ঘৃণা।
        ......... ..........
03/10/2020
বহড়ু,জয়নগর
এই কবিতার সম্পূর্ণ বিষয়টি কাল্পনিক। সমাজের বাস্তব জীবনের কিছু সংগৃহীত উপাদান থেকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।