বাঙালি বুদ্ধিমান  
অযোগ্যকে করে তোয়াজ,
অবুঝ মন-
যখন তখন
দেখায় ভীষণ মেজাজ।
মসৃণ রাস্তায় হাঁটতে চায়,
কিন্তু পারিপাশ্বির্ক আকর্ষণ,  
সুখের স্বর্গ আর প্রলোভন
সব কিছু ----,
তছনছ করে দিয়ে যায়,
গভীর প্রত্যাশায়-
বিবেক হোচোট খায়
তরল সুধায়।
বাঙালি বুদ্ধিমান
তর্কযুদ্ধে ঝড় ওড়ায়।
বাহ্যিক দৃষ্টিতে
ভীষণ হাসি খুশি
গোপনে কুটিল ষড়যন্ত্র
মাথায় চর্কীপাক খায়।
বাঙালি বুদ্ধিমান
বিনা যুদ্ধে
সিংহাসন পেতে চায়।
মস্তিষ্ক অফুরন্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার ,
সময় ও সুযোগ বুঝে
যত্রতত্র বিলিয়ে দেয় ।
যোগ্যতা থাকুক কিম্বা
নাই থাকুক-
পদাধিকারবলে ও ক্ষমতার জোরে
ভবিষ্যতের রাস্তা সুগম করে,
তারজন্য কারও ক্ষতি হোক
কিম্বা মৃত্যু হোক!
তাতে বাঙালির কি আসে যায়!
একদিন বাঙালির ছিল
অনেক কিছু--।
আজকের বাঙালি নিষ্প্রাণ!
হতাশা আর অসন্তোষে
ধুঁকছে জান।
বাঙালি এবার তো ঘুরে দাঁড়ান?
----------------------
রচনাকালঃ ৬ শ্রাবণ ১৪২৮
বহড়ু, জয়নগর।