জীবনচক্র
    ------------

মাতৃজঠোর হতে তুমি
ভূমিষ্ঠ হলে পৃথিবীতে!
নতুন জগৎ নতুন পৃথিবী তোমাকে করে অভ্যর্থনা!
একটু একটু করে সময়ের হাত ধরে  পারিপাশ্বির্ক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা।
ঠিক সকালবেলায় লাল সূর্যটা দেখে জেগে ওঠার মতো!
তারপর অনেকটা পথ---
সম্পর্কের বন্ধনে
বাবা মা আত্মীয় সজন বন্ধু-বান্ধব,ছাত্রজীবন।
সফলতা ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে
যৌবনে পদার্পণ।
প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য
প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ।
জীবন জীবিকার জন্য
একটি চাকুরি কিম্বা ব্যবসা
এককথায় অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ।
নতুন সম্পর্ক---
শারীরিক ও মানসিক  প্রয়োজনে বৈবাহিক জীবন।
নতুন প্রজন্ম---
সন্তানের জন্ম
তারপর সন্তানের মঙ্গল ও সাফল্যের জন্য অর্থ উপার্জন----
সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবনা।


এইভাবেই দিন মাস বছর পেরিয়ে যায়।
এটাই মনুষ্য জীবন।
তারপর চেহারায় পড়ে বয়সের ছাপ।
পৌড় থেকে বার্ধক্যের জীবন।
সকালের রক্তীম সূর্যটা
কখন যে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্তে ঢলে পড়ে!
অস্তমিত মৃদু আলোর রেখা
অতল সমুদ্রে হারিয়ে যায়।
এই স্বল্পকালীন যাত্রাপথে
শূণ্য হাতে এসে শূণ্য হাতে
চলে যেতে হয় মাটির বুকে!
নশ্মর দেহ বিলীন হয় মহাশূন্যের মাঝে।
এই জীবনচক্রের মধ্যলগ্নে যে ক্ষণ টুকু ছিল তোমার হাতে!
হিসাব নিকাশ করে দেখা হলো না  জীবনের যথার্থতা কি!
জীবনের গুরুত্ব কতটুকুই  
আগামী প্রজন্মের কাছে!
প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে কি?
------------
11/12/2020 ইং
বহড়ু,জয়নগর দক্ষিণ ২৪পরগনা।