কি সাংঘাতিক!
*********


হটাৎ শুনতে পেলুম কারা যেন বলছে
আজ থেকে সবকিছু
বন্ধ নাকি থাকবে।
কি যেন হোয়েছে দুত্তেরি মনে কিছু পড়েনা,
কি যেন নাম বলল লোকটা
হা করোনা নামে যে রোগটা!
হেভি কেছাইন হয়েছিল সেদিন,
চারিদিক সুনসান গাড়িঘোড়া সব বন্ধ।
সব লোক করে শুধু একে ওকে সন্দ।
আমি বাবা অতশত বুঝি না,
কারো সাতে-পাঁচে থাকি না।
ঝামেলা যতখুশি হয়ে যাক;
দূর থেকে উঁকি মেরে দেখে নেবো-
আমার রাস্তাটা আছে কিনা ঠিকঠাক।
যাক বাবা আমার কোনো চিন্তা নাই,
আমি অতি নগণ্য সরকারী কর্মচারী ভাই।
কাজ নাই তাতে কি!
বাড়িতে বসে বসেই ম্যাইনে তো পেয়ে যাই।
সকাল বেলা হলে খবরের কাগজ হাতে,
চেয়ারে বসে পা নাচিয়ে-
গরম চায়ে চুমুক দিয়ে যায়!
আর যারা দিন আনে দিনে খায়
প্রাণপণ শুধূ খেটে যায়!
এইভাবে কয় মাস খেয়ে পড়ে বাড়িতে
গিন্নির সাথে এটা ওটা সাহায্য করি তাই।
টিভি টা আগের মত তেমন ভাই দেখি না,
ভয় লাগে বড্ড! জানি না কখন হঠাৎ যদি
হার্ট ফেল করে যাই।
মাঝে মাঝে শুনতে পাই
বাইরে থেকে এলো যারা
তারা নাকি রোগটা কে এনেছে!
ছোঁয়াছুঁয়ি ঘাঁটাঘাঁটি অনেক কিছুই নাকি হয়েছে! সাবধান থাকতে হবে এমন অভয় বাণী
সরকার নাকি শুনিয়েছে!
নাক মুখ  ঢেকে সারা মাসে 1 থেকে 2 বার
গিন্নির শাসানিতে বাজারের থলি হাতে
সুড়সুড় করে গুটি গুটি পায়ে
বাজারটা বাধ্য হয়ে করি তাই।
যেটুকু মাইনে পাই
ছাপোষা সংসার ভাই,
কোনরকমে ডালভাত জুটে যায।
মাঝে মাঝে পাড়ার ছেলেরা এসে
আবদার করে বসে।
বলে- দান ধ্যান করুন দাদা
মানুষ যে মরে যায়!
ফতুয়ার পকেটে হাত বুলিয়ে খুচরো পয়সায় অল্পকিছু দিতে হয়
তা না হলে কটুকথা শুনতে পাই।
জানি ভেতরটা শুকিয়ে যায়
অল্প হলেও কিছুতো খসে ভাই।
------------
31/07/2020
বহরু জয়নগর।