দোতলার ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে
মন উড়ে যায় বলাকা হয়ে।
ষোড়শী প্রতিদিন দেখে
ঐ দূরের আকাশটাকে।
কল্পনাবিলাসী হৃদয়
ভালোবাসতে চায়
দরমার ঘরে বসে দিনরাত
জেগে পড়ে একাকী ছেলেটাকে
ওর খুব ভালো লাগে,স্বপ্ন দেখে মন
মনের গভীরে ওঠে
প্রেমের লজ্জা রঙীন ঝড়।
পাশের ঐ ফুটবল খেলার মাঠে
দেখেছে কতবার,
নীচে ধূ ধূ সবুজ প্রান্তরে
আর ঐ মাটির পথ ছাড়িয়ে
উঁকি দেয় মন বার বার,
বড় ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দেখি।
ছোট ছোট ঘরগুলো ছবির মত!
গ্রামের শ্রমজীবী মানুষগুলো
কত দূরে তবু মনে হয় কত আপনার!
সুপ্ত মনে স্বাদ হয়,
ঐ মাটির অচেনা পথে
মানুষগুলোর সাথে প্রাণ ভরে
গল্পে কাটুক সারাদিন,
ওদের নিত্য দিনের সুখ দুঃখের সাথে।
নিজ বিলাসবহুল পোশাকী বদ্ধজীবন
অসহ্য লাগে!
বছরের এই কটাদিন
জীবনের খুশির দিন।
গ্রামের বাড়িতে শারদীয়ার পুজো
উৎসবে ভালোই কাটে।
বাকি সারা মাসগুলো ব্যস্ততার মাঝে
ভীষণ ধূষর,গদ্যের মতো!
নীরস বিষাক্ত মাকড়সার জালের মত
শ্বাসরোধ করে মারতে চায়
ওর জীবনের স্বপ্নকে।
সারাশহর যখন নিদ্রায় মগ্ন থাকে,
ও একাকী রাত জাগে,
সারারাত ধরে কত কি যে ভাবে,
আবেগে অশান্ত অবুঝ মন।
-----------------------
22/11/2019
বহড়ু, দক্ষিণ 24 পরগনা,জয়নগর।