আমি যে দেখেছি ঘন দূর্যোগেও
ঐ আকাশের চিত্রনাট্য,
মনে  হয়েছিল ওটা ঘন নীলাম্বর,
কিন্তু আসলে তো ওটা শূণ্য।
আমি যে দেখেছি ভোরের আলো ফোটার সাথে,
কত শত পাখির জীবন আলোর আনন্দে মুখরিত।
অথচ  জানি সে তো জীবন নয়!
বাঁচার জন্য শুধু লড়াই ।
জীবন বলে যাকে মনে হচ্ছে
ওতো জীবন নয় শুধুই একটা যন্ত্র।
মৃত মানুষের হৃদযন্ত্রটা খুলে দেখ
কি বলতে চেয়েছিল?
মরীচিকার পেছনে শুধু ছোটা।
যৌবনের অতৃপ্ত দেহের ক্ষুধা
যাকে তুমি বলছো প্রেম কিম্বা ভালোবাসা!
মরীচিকা ছাড়া আর কি?
দূর থেকে দেখছো যেটা কত সুন্দর
ওকে দূরে থাকতে দাও,
কারণ সে চোখের ভ্রম হতে পারে কিম্বা মরীচিকা।
ঐ রৌদ্রে দগ্ধ পোড়ো মন্দির,
খোলা আকাশের নিচে ঐ রুক্ষ বৃক্ষরাজি
আজও মূর্তিমান প্রশ্নের মত!
হয়তো ক্ষণিক পরে শীতল হাওয়ায়  
মূহুর্তের জন্য ওদের প্রানে দোলা দেবে,
কিন্তু সে মরীচিকার মত প্রকাশ।
একদিন হয়তো কালবৈশাখীর ঝড়ে
দোয়েল পাখিটা নীড় হারা হয়ে
মেঠো সংগীতের স্বরগুলো
রক্তেরদামে মিশিয়ে দেবে মাটিতে।
আজ তাই মনে হয় পার্থিব দেহটা কত তুচ্ছ!
জীবনের মূল্যবোধটা কত বড়ো!
শত শত ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে
গড্ডালিকা স্রোতে ভেসে যাওয়া বাস্তব সভ্যতাকে।
সভ্যতার আপাদমস্তক চেহারাটা
আজ এ কোন সংস্কৃতির চেহারায় মোড়া?
উপরেরপর্দা টা একটু সরাও
জঘন্য পাশবিক চেহারাটা দেখতে পাবে না কি?
রঙীন পেয়ালায় তরলের প্রতিচ্ছবিতে
নিজের কদর্যতাকে ঢাকতে পারছ কি?
অসম্ভব!
পিছনে ফেলে আসা সামাজিকবোধগুলো
অকৃত্রিম অত্যন্ত সহজ সরল মানবিকতা
কোথায় কোন অতল সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ।
সাহিত্য!
সুস্থ রুচিশীল সাহিত্য চর্চাধারী প্রেমিকের দল
কেমন আছো সবাই?
সাহিত্য তোমার শরীরে ভয়ঙ্কর বাজারী কীটের আক্রমণে ঢেকে ফেলেছে জাঁকজমকের বহরে।
তাকে প্রতিরোধ করবে কে ?
স্তাবকেরদল শুধুই করতালি দেয়,
কিন্তু সংস্কৃতির উৎকর্ষতা, সাহিত্যের মর্যাদা
আজ আর চায়ের আসরে বিতর্কের ঝড় তোলে না ।
বিজ্ঞাপন আর প্রচারের আলোয় তা ম্লান।  
তাই কবিতা! সাহিত্য! আজ মরীচিকাসম প্রায়।


----------********-----------