আমি তোমার আভিজাত্য ছেড়ে
চলে এসেছি ,
কয়েকটা বছর আগে।
আমি তোমার গোপন না বলা
নোংরা পাপের ইতিহাস
দেখে ফেলেছিলাম
তোমার অজান্তে,
দেখেছিলাম তোমার পাপের
জগৎ!
মনে পরে প্রথম যেদিন
তোমার সাথে দেখা হয়েছিল
কলেজ স্ট্রিটে মোড়ে,
চায়ের দোকানে,
সেই প্রথম আলাপ।
তোমার হাসিতে লুকিয়ে ছিলো
মুগ্ধ আকর্ষণ।
যেকোনো যুবতী নারী
তোমাকে ভালোবাসতে পারে,
কারণ তোমার স্মার্টনেস চেহারা,
কথা বলার স্টাইল
ছয় ফুট হাইট
এক কথায় অ্যাট্রাকটিভ লুকস।
তখন বুঝিনি এমন কদর্যতা
তোমার মনের গভীর আলিন্দ্যে সুপ্ত ছিল!
এখন ভাবলে গাটা রিরি করে ওঠে !
তারপর একদিন রাস্তায়
চলার পথে সিগনালের অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি একা,
রাস্তা পার হওয়ার সময়
তুমি অনেকটা দূরে
উল্টো দিকে দাড়িয়ে
হাত নাড়ছিলে আমাকে দেখে।
আমি রাস্তা পার হতে যাবো
একটা শকট আমার গা ঘেঁসে বেরিয়ে যায়।
হয়ত আমি ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতাম
কিন্তু মনে হয়েছিল একটি বিশ্বস্ত
শক্ত হাত সেদিন আমাকে রক্ষা করায় -----
না সেদিন আমি খুব ভুল করেছিলাম
আর সেই ভুলের মাশুল
আজও আমাকে দিতে হচ্ছে অনন্তকাল!
তোমার আসল স্বরূপ
যখন প্রকাশিত আমার সম্মুখে,
বাকরুদ্ধ হলাম সেই বিশেষ মুহূর্তে।
ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম বিস্ময়ে!
মনে হয়েছিল আমি কেনো বেঁচে আছি এখনও।
দশটা বছর কেটে গেছে।
মিথ্যে ভালোবাসার কাহিনী
চাপা পড়ে যায় সময়ের আবর্তে।
আমরা দুজনে দুজনার থেকে অনেক দূরে।
দুই মেরু প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।
বহুদিন আর কোনো যোগাযোগ নেই।
চামড়ায় ভাঁজ পড়ে,
মাথার চুলে পাক ধরেছে,
দুচোখের নীচে কালি ও পড়ে।
গভীর নিস্তব্ধ রাতে জোছনার আলোয়
স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে পুরনো অতীত ।


সমাজের বুকে
এমন জঘন্য অমানুষরা আজও কত
অসহায় নারীর দেহ ছিঁড়ে
টুকরো টুকরো করে শৃগাল কুকুরের মতো।
রাতের অভিশপ্ত রেস্তোরাঁর নীল আলোয়
চাপা পড়ে কত জীবন্ত লাশ গোপন ইশারায় ।
আর কতদিন এভাবে
নারীর শরীর নিয়ে পাশবিক খেলা চলবে!
_________________