শুভ মাতৃভাষা দিবস
-----------------
  ------>  বিশ্বরুপ
-----------------
আমার মুখের প্রথম কথা
সেতো আমার জন্মদাতা
উচ্চারিত প্রথম শ্রবণ ধ্বনি
মায়ের মুখেই শুনি।


অন্তরতে মধু মাখা সুরে
প্রবেশিল কর্ণ গোচরে
হাঁটি হাঁটি এক্কাদুক্কা পায়
বিশ্বের গৌরবের আঙিনায় ।


মাতৃভাষায় পেয়েছি প্রথম শিক্ষা
মায়ের আশীর্বাদে দীক্ষা
পেরিয়ে এসেছ অনেকটা পথ
আজ কি নেবেনা শপথ!


আজ বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসে
আপন ভাষাই আলো,  
পর ভাষায় তাঁবেদারি ছেড়ে
নিজস্ব ভাষায় চলো।


-------------------
21/02/2020
বহড়ু,



ব্যবধান------> বিশ্বরুপ


একই ছাতার তলায়
আমরা সবাই পাশাপাশি ,
রোদ-বৃষ্টিতে সবুজের সাথে থেকেও
কতটা নিরাপদ দূরত্বে থাকা।
আপন মনে হাজার ব্যবধান রেখে চলেছি।
সময়ের সংকট থেকে মুক্তি নেই
তবু সম্পর্কের টানে কাছে আসে!
কখনও যদি প্রলয় আসে
সংকট নিয়ে আসে আরও অনেক কাছে।
কত তুচ্ছ কারণে ক্ষুদ্র হতে বৃহৎ সমস্যা
ভীষণ প্রকট হয়ে ওঠে!
আভিজাত্যের তকমা লাগিয়ে গায়ে
কেমন বিচার বুদ্ধি হারিয়ে যায়,
প্রতিভার বিকাশেও অন্তরায় হয়ে যায়
শুধু ঐ একটি ত্রুটি!


--------------------



বেকার
-------->  বিশ্বরুপ


বেকার ছেলেরা নাকি বসে বসে বাবাদের অন্ন ধ্বংস করে
আমিও তার ব্যতিক্রম নই।
আমার মাথার উপর বেকারত্বের অভিশাপ!
রঙিন স্বপ্নগুলো এখন শুধুই মরীচিকা,
চলার পথে নেমে আসছে ক্রমশ বিদঘুটে অন্ধকার।


ফাইল ভর্তি সার্টিফিকেট আর টেবিলের উপর রাখা মোটা মোটা বইয়ের স্তর।
বেকার ছেলেদের শুধুই হতাশার সাগরে ডুবিয়ে রাখে,
সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে নিজেকে, নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে
লক্ষ বেকার ছেলেদের লড়ে যেতে হয় বেকারত্ব ঘুচানোর যুদ্ধে।
তবুও বেকার ছেলেগুলোকে নিয়ম করে-
পরিবার, আত্মীয়-স্বজন আর প্রতিবেশীর কাছ থেকে ভর্ৎসনা শুনতে হয়।


দিনের পর দিন হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ  করে,
যে মানুষটাকে সুস্থ করে তুলে একটা বেকার ছেলে
সেও একদিন সেই ছেলেটার বেকারত্ব নিয়ে কটুকথা বলতে দ্বিধাবোধ করেনা।
যে মানুষগুলো বেকার ছেলেদের সাহায্য ছাড়া একদিনও চলতে পারেনা,
সেই মানুষগুলোই আবার পিছে তাদের বেকারত্ব নিয়ে পরিহাসে মেতে উঠে।
নিত্যদিনের উপহাস আর অপমান মানিয়ে নিতে শিখে যায় তারা;
সে জন্যই হয়তো বেকার ছেলেদের আত্মসম্মানবোধ থাকে নিম্নস্তরে !


অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয়া,
কোন কোন বেকার ছেলের মাথার উপর থেকে পরিবার নামক
বটবৃক্ষের ছায়াটাও যখন একটা সময়  সরে যায়!
সে ছেলেগুলো তখন যাযাবর হয়ে বন্ধুদের মেসে
কিংবা স্টেশনের এক কোণে মাসের পর মাস রাত কাটিয়ে দেয়।


টিউশনের হাজার পাঁচেক টাকা দিয়ে
অনাহার আর অর্ধাহারে চলতে থাকে তাদের জীবন।
তবুও বেকার ছেলেদের পিঠে হাত বুলিয়ে কেউ অনুপ্রাণিত করতে আসেনা।


যেদিন অপেক্ষা আর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে
প্রিয়তমাও তার প্রায় দ্বিগুণ বয়সের একটা মানুষের হাত ধরে চলে গেছে,
কিছু শান্তনার বাণী শুনিয়ে।
বেকারত্বের অভিশাপে সেদিনও আমি অসাড় ছিলাম।


একদিন প্রতিটা ছেলেরই বেকারত্ব ঘুচে যাবে।
পরিবার আত্মীয়-স্বজন আবার তাকে সাদরে গ্রহণ করবে,
প্রিয়তমার থেকেও লক্ষী একটা বউ ঠিকই জুটে যাবে।


শুধু বেকারত্বের অভিশাপে নির্মম বাস্তবতার কষাঘাতে ক্ষতচিহ্ন গুলো থেকে যাবে
আমাদের মতো প্রতিটা বেকার ছেলের হৃদয়ের গভীরে।
--------------------
21/02/20
বহড়ু