অতি চালাকের গলায় দড়ি
ঠেসে ভরলে ভাঙে হাড়ি
একথা তারা মানে না!  
সৎপথেও করা যায় উপার্জন!
সৎভাবেও হয় জীবনযাপন
একথাও তারা জানে না!  
জানে শুধু!  নিতে হবে বেশী
একটু হলেও সকলের থেকে!
যদিও হয় দুর্বল পেশী
না খাটিয়ে শরীর,
শুধুই ব্যবহার করে মাথা।
আর যেতে হবে সরে চুপচাপ,
ফুরোলে! নিজের কাজটা ।


পাবেন তাদের  যত্র তত্র
কেউ ভদ্র , কেউ বা অতি অভদ্র
কেউ আবার গায়ে পড়ে
করে পিরীতি আলাপ
সবাই তাদের প্রয়োজনের বাপ
হতে পারে!
হতে পারে  ভাই বোন আত্মীয় পরিজন
কিম্বা বন্ধু , একান্ত আপন
অথচ তারা যে প্রকৃতই অনাথ  
সে পরিচয় রাখে গোপন।
পারেনা জানতে! তাদের ডান হাত
বাম হাত আসলে! কি কাজ করে ?    


কাউকে তারা করেনা বিশ্বাস
যেখানে যখন যা করে কাজ
সকল প্রমান রাখে।
হলে অসুবিধে, পড়লে বিপদে
চাপিয়ে দোষ অন্যের কাঁধে
নিজে শান্তিতে থাকে।
সূচ হয়ে ঢুকে হয়ে যায় ফাল
তবুও দুঃখী তারা চিরকাল
হিংসার আগুনে তাতে!  
না বোঝে মমতা,  না ভালোবাসা
শুধুই তাদের পাবার আশা
দেবার বেলায় কাঁদে!  


যখন থাকে কোন দলে ?
শুধু আমি! আমাদের বলে!  
আর বুঝলে সময় খারাপ
দেখিয়ে অজুহাত, দল বদল করে।  
চড়লে বাসে ট্রেনে  
জানালার পাশের সিটটাও! তাদের চাই
সকল ভালোর দিকে তাদের নজর সর্বদাই
হাজার খারাপের ভিতরেও
নিজের ভালোটা ঠিক খুঁজে নিতে পারে
বুঝে নিতে পারে নিজের অধিকার
কোনটা সার্বজনিক আর কোনটা তার!
নিলেও দায়িত্ব থাকেনা কোনও  ভারে
তাই  খুঁজলে বিপদে তারে ?
পাবে যে পাশে! সেই আশায় ছাই!


বোধ নাই! নাই জ্ঞান
নাই লজ্জা নাই অপমান  
যদিও বলে!  তারাই বুদ্ধিমান
জানেনা কি সহজ হিসেবটা ?
যদি সকলেই  দিয়ে খারাপটা  
ভালোটাই খোঁজে
কেবল  নিজেরটাই  বোঝে
কি হতে পারে শেষটা ?


হচ্ছেও তাই , বাড়ছে যতই
একসময় ছিল গুটিকয়েক
এখন অসংখ্য, অগুনতি,  অনেক
কালোমেঘের মতন গিয়েছে ছেয়ে দেশটা
চালাকির বাতায়নে মিশেছে গড়ল
বিষাক্ত হয়েছে আকাশ, বাতাস,  জল
শিক্ষা সংস্কৃতি সভ্যতা
তবুও নেই হুঁশটা,!!!  
ভাবে! নিজের  জীবনটা কেটে গেলেই হবে
কে দেখেছে পরেরটা?