বিনিদ্র রাত্রির শেষে
ঘরের বাইরে এসে,  যখন সে বসে
আরাম কেদারায় ।  
জমাট বাঁধা এক অন্ধকার
ঘিরে ধরে তাকে  
অবসাদের গল্প শোনায় ।
আধবোজা চোখের কোনে
ঘুমের হাতছানি আসে বারবার
তবুও আসেনা ঘুম
হতাশা আর ব্যর্থতার
চাদরে জড়ানো  অতিত
পিছু নেয় নাকি তার ?  
হতে চেয়ে মানুষের মত
মানুষের থেকে যত
পেয়েছে আঘাত
যা কিছু রাখা  আছে   যতনে
মনের গহনে ।
টেনে ধরে চোখের পাতা
সিলিঙের পাখা
দড়ি তাকে টানে ।
সবকিছু  করতে গিয়ে ঠিক
কি যেন হয়েছে  ভুল ?  
কোথাও হয়েছে বুঝতে,  কোথাও বোঝাতে
কোথাও বা চুপচাপ নিরবতাতে ।
মনের গভীরে রেখে  তাকে
তার রাত জেগে থাকা ।
মন কি বলেনা ?
আবারও তো হতে পারে শুরু
আবারও তোঁ হতে পারে ভুল
তবে কেন অবসাদ নিয়ে বেঁচে থাকা  ?
একরাশ সুগন্ধ নিয়ে যে শিউলির ফুল
ফোটে রাত্রিতে
ভোরের আলোয়  স্পর্শ করতে ধরণীর ধুল ।
সেও কি  থাকে বসে  একা
অবসাদ নিয়ে রাতজাগা
একা বাইরের  ব্যালকনিতে ?
যে রাত , দূর করতে  অবসাদ
পেতে  আলোর স্বাদ
চাঁদকেও নেয় ডেকে।  
তুমি কেন একা বসে থেকে
নিজেরে  করো অভিশাপ  ?
জানো নাকি তুমি ?
আলো আর অন্ধকার
দুটোই এক ।
একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ।  
তাদের হাতে হয়ে  বন্দী
তোমার অবসাদ
তোমাকে নিয়ে করে টানাটানি
পেতে জীবন আর মৃত্যুর স্বাদ
সে বারবার বাড়িয়েছে হাত
অবশ করেছে তোমায়
করেছে নিদ্রাহীন এক অভিমানী ।