যদি  কেউ রাখে তোমাকে
পৌষের কনকনে শীতে
ঘরের বাইরে দাড় করিয়ে সারারাত।
তোমার ক্রমাগত বাড়তে থাকা রাগ
কি দিতে পারে
সেই তাপ  
রাতটুকু জেগে কাটানোর    
বাইরের কনকনে শীতে  ?
যদি না পারে দিতে
তাহলে কোন যুক্তিতে
বৃদ্ধ দম্পতি থাকে বাইরের দালানে
বসে চোখের  জল নিয়ে বিনিদ্র রাত্রিতে  
সন্তানের হাতে হয়ে বিতারিত ?
তারা কি অবাঞ্ছিত ?
সন্তান যাকে করতে মানুষ
নিয়োজিত করে সম্পূর্ণ জীবন
হয়েছে কি অমানুষ তবে ?
কি ছিল অপরাধ ?
বয়স আর অক্ষমতা
অলস উপার্জনহীনতা
নাকি অপ্রয়োজনীয় কোন মাথাব্যাথা ?
নয় সে অশিক্ষিত  এমন
তবু কেন তার অভদ্র আচরন   ?
সে তো ভদ্র সমাজেরই  একজন ।
যে সমাজ তাকে দিয়েছে সম্মান
দিয়েছে সুখের জীবন ,
শিখিয়েছে জীবনের ব্যাবহার
তারই ছায়াতলে এমন  ঘটনা ঘটেই  আকছার ।
তারা  কি অন্ধ ? নাকি অন্ধের মত কোন অন্ধকার
ছিনিয়ে নিয়ে আশ্রয়ের অধিকার
বৃদ্ধ  মাতাপিতার  
কনকনে শীতে
বীজ বুনে  চলে এ কোন সভ্যতার ?
তবুও তো সন্তানের জন্ম হয়
হয় বড়, হয় বুড়ো
বিছিন্ন করতে সম্পর্ক
পূর্বপুরুষের সাথে
জীবনের নাড়ীর সাথে  
মাতে এ কোন খেলায় ?
একটু বেশী সুখ, একটু বেশী আনন্দ পাওয়ার আসায়    
তারা  চেয়ে থাকে আকাশে।  
আর ভালোবাসা ধুলোতে লোটায়
বসে থাকে ঘরের বাইরে  
পৌষের কনকনে শীতে ।