সরকারী শিল্পগুলোর মতন  
সরকারী স্কুলও বুঝি এবার
হবে শুধুমাত্র গরীবের খাবার
যেমন সরকারী হাঁসপাতাল হয়েছে পরিষেবায়!
চলে, তবে কেবল এক শ্রেণীর জন্য
যাদের পকেট শূন্য
চিকিৎসা খরচ যোগানো দায়
তবুও  উন্নতি করছে দেশ, বোঝা যায়!  


দেখা যায়,  উন্নতি করছে বিজ্ঞান
একজন দিন মজুরের সন্তান!
সেও চায়,  ইংলিশ মিডিয়াম
কষ্টেশিষ্টে হোক! তবুও
মাতৃভাষা নয়! দু চারটে ইংরাজি শব্দ শিখতে চায়
নাহলে! তাদেরও নাকি সমাজে জাত যায়
জাতিভেদ প্রথা কি! টিকে আছে এখনও ?


দেখাতে পার্থক্য  
ছুটে আসে মিডিয়া মাইক নিয়ে হাতে
করতে পালন কর্তব্য
চলে যায় সেই পরীক্ষার্থীগুলির কাছে
যারা বানান বলতে তোতলায়
দেখিয়ে নিন্মমান
ঘর ভরে ইংলিশ মিডিয়াম
প্রাইভেটেরই এখন বাড়ন্ত দাম
ফিস কমাতে অনুরোধ করে খোদ সরকার
এটা নাকি আইনের আওতায় আসে না!


তাই, প্রশ্ন ওঠে বারবার
এই কি ছিল উদ্দেশ্য শিক্ষার ?  
যদি শিক্ষকদের হাতেই মৃত্যু ঘটে মাতৃভাষার
অবহেলায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠে
কিছু ধূর্ত ব্যবসায়ীর হাতে  
বৃদ্ধি করতে তাদের ঘৃণ্য কারবার
কেউ করেনা জিজ্ঞেস তাদের!
কারও  কি নিজের!
পাঁচ পুরুষের নাম স্মরণে আছে ?
জানে!  জবাব দেবার কোনো
প্রয়োজন নাই
আমরা পৌঁছে গিয়েছি
আমাদের কাঙ্ক্ষিত  লক্ষ্যের কাছে
যখন সবাই যে যার স্বার্থ বোঝে l