দিগন্তহীন প্রান্তে বসে ছিলে তুমি,
সমুদ্র হয়ে ঢেউ তুলছিলাম আমি।
বালির ওপর সারা প্রহর তুমি
বসে বসে দিন গুনছিলে কাহার
সমুদ্রের ঢেউ হইয়া আছড়াইতেছি তটে,
জলের বুঁদ হইয়া তুমি
জমা হইতেছো আমার বুকে।
বুঁদ-গুলি মরে যায় পরের ঢেউয়ে
কাঁদিয়া ভাসাই আমি বালির তটে
ক্ষুদ্র বালি ভিজে যায় আমার শোকে
ঢেউ হয়ে আছড়াই শুধুই ডাঙায়।
অন্ধকারে আমার বুকে আলোর ছোঁয়া নেই।
তবুয়ো আমি সেই আলোতে, তোমাকে দেখতে পাই।
জানি সমুদ্র হয়ে জলপরী-কে কাছে ডাকতে নেই,
তবু-ও আমি সেই কাজটি বার বার করতে চাই
জলপরী যে আমার রানী, সেই কলঙ্কটাই
আমায় শুধু মারছে দিন-রাত মারার অন্ত নাই।
মরার আশায় বাঁচতে চাইনা, মৃত্যুর দোরগোড়ায়
আমায় ঝুলিয়ে রেখেছো মৃত্যুর চৌকোঠায়
নীচু মাথায় রক্ত বুঁদ হয়েছে আমার
তাইতো আমি নিয়ে ডোবাই শত-শত নোঙর।
তাইতো আমি তোমার বুকে গর্ত করতে চাই।
তোমাকে আমি আমার সঙ্গে মরা দেখতে চাই।