তুমি বৃত্ত থেকে চলে গিয়েছিলে উঠানের পর
একটা সবুজ বনের আশায় কিন্তু পেলে না
নদী আগেই মরে গেছে পড়ে আছে ধূ-ধূ প্রান্তর
থাবা মেরেছে বিশাল এক বালুচরের মাঠ
শত হাজার চেরা বুক ধরে বেঁচে আছে এখনও;
তোমার উঠানে পড়েছিল শূণ্য এক থালা
মাঠে এলোপাতাড়ি এক মাতালের বৈশাখীর খেলায়
পৃথিবীর ফুসফুসে হয় রক্তক্ষরণ আর নারগিস-সিডরের আঘাত,
হাজার মাথার খুলি, হজার বাঁকা হাড় স্তূপ হয়ে পড়েছিল অকাতরে সেদিন
অথচ এরই মাঝে জীবন্ত কিছু পশু দেখছিলে একলা তুমি
অনেক গরিলা পাশের মরা বন থেকে উঠে এসেছিল –
যাদের পেটটি ছিল ভয়ঙ্কর মোটা
তুমি নির্বাকে ছিলে বটে ভয় পেলে না – তবে ম্লান হয়ে গিয়েছিলে
এক খরা ভরা দুপুর দৃশ্যমান ছিল সেদিন
আলো ডুবেছিল তখন যদিও রাগ ভরা ছিল পরিপূর্ণ
ভুতুড়ে অন্ধকার তবু চিল-ঈগল কথা কয়
এর মাঝে নীড় খুঁজে পাবে কিনা, সংশয় ভরা ছিল তোমার
কেন নয় আকাশ ছিল হতভম্ব, বোবা ফালি চাঁদের খোঁজ নেই
জ্বলছিল নিভু নিভু গুটিকয়েক তারা, কেউ তোমায় পথ দেখালে না –
সাথী হলো না, অথচ তোমাকে ভালোবেসে ঠেলে দিল দুরে –
নিশ্চিত এক সময়ে ঘড়ির কাঁটা হলো বন্ধ, বিচ্ছিন্ন হলো মহাগোর
মানুষেরা যা দেখেনি – জেনে  রেখো তুমি শব মাথার ঠুলি কথা কবে
দর্গন্ধ ভরা বাতাসের সাথে একদিন।