একদিন আমিও ছুটেছি উল্কাবেগে
করেছি কর্ম দিবা রাত্রি জেগে।
ক্লান্তি ছিলোনা এত এত পথ চলায়
ছিলোনা জড়তা হাজারো কথা বলায়।
যৌবনে ছিলাম শক্তিমান এক মানুষ
বয়স ভারে শরীর আজ নতজানু।
রোগ শোক কত বেঁধেছে শরীরে বাসা
বার্ধক্য ঘিরেছে, কমেছে বাঁচার অাশা।
জানিনা কতদিন টিকবে আমার দেহ
চলে যাবো ঠিক, রাখবে না খোঁজ কেহ।
থাকতে যারা ছিল মোর অাশে পাশে
হয়তো ক'দিন কাটাবে দীর্ঘশ্বাসে।
এ পৃথিবী থেমে থাকে না কারো জন্য
জীবনের ধারা স্রোতের ন্যায় গণ্য।
মৃত্যু হলো সৃষ্টির অপর নাম
পারবে না কেউ থাকতে এ ধরাধাম।
এ ভব সংসার যেন এক তুচ্ছ মায়া
অাকড়ে ছিলাম ধন, পুত্র কন্যা জায়া।
যৌবন কেটেছে আনন্দে, শান্তি-সুখে
দিতে পারিনি বয়সের গতি রুখে।
ভাবিনি কখনো প্রান্ত জীবনের দিক
ব্যস্ততাতেই ভুলেছিলাম সব ঠিক।
কর্মহীন আজ একাকিত্ব গিয়েছে বেড়ে
বার্ধক্য যেন সব নিয়েছে কেড়ে।
এখন তো আর দিতে পারি না কারো কিছু
হয়তো এ কারনে কেউ হাঁটে না পিছু।
স্ত্রী সন্তান বন্ধু অাত্মীয় বাঁধন
এসবের পেছনে অযথা করেছি সাধন।
ভুলভাল সব হিসেব গিয়েছি কষে
উপলব্ধি হয়েছে জীবন সায়াহ্নে এসে।
বুঝেছি এ জীবন নয় তো অমায়িক
সবই যে তুচ্ছ! স্বার্থ! সাময়িক।।