তুমি হাসলে মেঘের আড়ালে
         হারায় চাঁদের আলো,
দখিনা জানালায় মাতাল হাওয়া
        বলে—" বাতায়ন খোলো;
দেখো প্রকৃতির এ কি সাজ !
         চাঁদ লুকালো লাজে
তবু আলোয় ঘেরা রাতের আধার
     যেন মুক্তো ঝরে পাছে !
কে হাসে গো এমন ?                
         কে হাসে গো বলো "
বললাম " তবে হাতটি ধরে
         আমার সাথে চলো "
পথের মাঝে নদী এসে                
         বললো ধরে হাতে—
" এমন হাসি দেখবো বলেই
          ছিলাম অপেক্ষাতে ,
নেবে আমায় সাথে ?
          ও ভাই– তাড়িয়ো না , শোনো—"
বললাম—" তবে চুপটি করে এসো—
             কেউ টের পায় না যেনো "
হাসলো নদী খিলখিলিয়ে
    হাসলো মাতাল হাওয়া
          চোখ রাঙিয়ে বললাম— " তবে
    আর হবে না যাওয়া "
সুযোগ বুঝে মেঘেরা এসে
        বললো— " তবে কবি
তাড়িয়ে দিয়ে মুর্খগুলো
       আমায় বল না নিবি ?"
বললাম—" তোমরা সবাই এসো
              কেউ যাবেনা বাদ
দেখবে চলো কোন সে লাজে
             মুখ লুকালো চাঁদ "
তারার দলে হিংসে করে
              বললো—" তবে আড়ি
আমরা বুঝি পর গো তোমার ?
              ওরা আপন ভারী ? "
জিভ কেটে যেই ধরলাম কানে
              ওমনি নিলো পিছু
মেঘের সাথে ছুটলো চাঁদও
              মুখে নাইবা বললো কিছু ।
যেই না এসে তোমার দ্বারে
              পথের হলো শেষ ;
ওমনি হুমড়ি খেয়ে পড়ে সবে
             বললো—" কবি বেশ !
এ হাসি হাসি নয়কো
             নয়কো হাসি যেনো—
এ যে আধার ঘরে জ্বালিয়ে দেওয়া
          আলোর প্রদীপ কোনো । "
ভাবছো সবই গল্প নাকি
          মন ভোলানো কথা ?
এমন কভু হয় নাকি
          ভাবছো বুঝি তা ?
তবে চাঁদকে ডাকো , রাতকে ডাকো
           ডাকো মেঘের দল
হাওয়াও আসুক , থাকুক তারা
         আসুক নদীর জল ।
বসুক তবে সভা আজি
        বলুক ওরা , কেমন করে—
হাসলে তুমি , তোমার হাসি
          মুক্তো হয়েই ঝরে ।
হাসলে তুমি কেমন করে
          লুকায় চাঁদের আলো ?
কেমন করে হাসি দিয়ে
          আলোর প্রদীপ জ্বালো ?
বলুক সবই , বলুক ওরা
            তোমার চোখে চেয়ে
বলিনি আমি কভু যা
           তোমায় কাছে পেয়ে ।
তোমার হাসি সোনার হাসি
           অনেক দামে কেনা
হাসলে তুমি তোমায় লাগে
           যুগ জনমের চেনা ।
ওগো— যুগ জনমের প্রিয়ে
           তোমার হাসি ভালোবাসি
ওমন হাসি , এই জীবনে
            থাকুক দিবানিশি ।