আমি এখন মৃত প্রায় হয়ে ভোগছি অভিন্নতায়
ঝলসে আছি সারাক্ষন অকাতরে অদ্ভুত অচেতনায়
উত্সন্ন অবসন্ন স্মৃতি লটি লটি ভাসে দুচোখে
হাহাকার ধ্বনি ব্যঞ্জণ হয়ে বাজে বুকে, অন্তরে ।
ফেলে আসা দিন বহু দূরে বণিক্যের দোয়ারে
মুর্ছে হাঁকে মোরে আমার জাতিত্ব সব কৃষ্টি
বিড়ম্বনায় ঝরে পড়া আমার সংস্কৃতি সুকোমল ।
তরফায় ওঠে অহর্নীশি স্মৃতিপটে থর থরে দহে
অবক্ষয় দেহে লুটে লুটে অপকটে ওঠে বিভাসি ।  


আমি যদিও আছি জীবি’ত আমার শিকড় মৃত
অনাদরে অযতনে অবহেলিত অভিন্ন স্বভাবগারে ।
আমার যত খ্যাতি নদীমাতৃ গান, জারি-সারি
হাওর-প্রান্তরে যত সুর, রাখালের উদাশ বাশি
প্রসাদ-তলে হারিয়ে আছে সপ্ত ডিঙ্গা বহর ।
বালু-মরূচর শত নদী বিষম বিহ্বলে স্রোত হারা
মরা নদীতে বসেনা পাখি কিচির-মিচির ডাকি
মাঝিমাল্লা ডিঙ্গি বেয়ে আসে না কোথায় তীরে
আসেনা ফেরিওয়ালা গরিবের ঘরে অট্টালিকা ছেড়ে ।


আজ গা’য়ের বাঁকা রাস্তায় হাঁটে না যুবতি ভয়ে
শ্লীলতাহানীর ডরে কাঁপে যুবতি, কিশোরী আলয়ে ।  
স্বচ্ছ অসতের দল হাসে খলখল শাসাতে পারে কে ?
সেই বহু পূর্বে বাশের তৈরি ঘরে শোয়েছি অভয়ে
সমাজ বদ্ধ সুসভ্যতা আজ হারিয়েছে প্রকৃ্তি সনে
আমার সংস্কৃতি সদ গুণ সুস্বভাব নির্বাক সদভাব
দেশ কিংবা জাতির তরে অকুন্ঠ দায়িত্বের আদর্শ
অপুষ্যে নিঃশেষ শহর তলে গ্রাম গ্রামান্তরে দলে
অথচ; হই হতবাক করেনা অবাক কারুকেই ।