আমি তো...
আজীবন তোমার বুকে স্বপ্নের বীজ বুনেছি।
পায়ের কাছে বসে প্রার্থনা করেছি
যেন শস্যদানায় পূর্ণ হয় স্বর্ণাভ নাভি
শরীর থেকে মুছে যায় দুর্ভিক্ষের ছবি ।


আমি তো...
বার মাস তোমার উঠোনে পুষ্প বৃষ্টি চেয়েছি।
কিন্তু এ কেমন রক্ত হোলি! এখনো নৈশব্দের মাঝে  
সন্ত্রাসী নিশ্বাসে জল কেঁপে উঠলে
মাছরাঙার ঠোঁটে আহত মাছ লেজ নাড়ে!  


কেবল জীবনে
একবারই সে আকাশে উড়তে পারে!
জীব জীবের প্রতি এরকম নির্দয় হয়
শুধুই কি বাঁচার তাগিদে?
নাকি রক্তের ভিতর অন্য খেলা চলে?


আমি তো...
আজীবন তো্মার পাঁজরের অন্ধকারে  
মুঠোয় মুঠোয় আলো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি।
কিন্তু এ কি ! আঙুলে এমন দাঊ দাঊ আগুন!
স্পর্শেই পুড়ে ছারখার সমস্ত সবুজ সম্ভার!  


আমি তো...
আজীবন তোমার চোখে স্বাধীন স্বদেশ খুঁজেছি।  
নষ্ট সময়ের স্রোতে ভাসতে ভাসতে  
এ আমি কোথায় এসেছি? কাঁটার শয্যায়
চিৎ হয়ে শুয়ে এখন নক্ষত্রের রক্ত পান করছি!!