বুকে এক সমুদ্র বেদনা নিয়ে
কে যায়, কে যায় ত্রস্ত পায়ে নীলিমায়?
বনস্পতির নিঃশ্বাসে কোন অসুখে
ঝরে পড়ে ফুল নিঃশব্দে মৃত্তিকায়।


রাত্রির পায়ে পায়ে কোন নর্তকীর
অভিশপ্ত মল বাজে
হঠাৎ বজ্র বিদ্যুতের মতো
কার চোখ জ্বলে ওঠে অন্ধকারে!


এসব ভাবতে ভাবতে নিদ্রা যাই।


তখন স্বপ্নের গহন ভিতরে
সাদা ফ্রক পরা পরীর মতো বালিকা
নেচে যায় একতালে। তালপাতার
বাঁশি হাতে স্মৃতির বালক ছুটে আসে।


চোখের চরে বুনো মোষের মতো
কালো মানুষেরা ছুটাছুটি করে
পৃথিবীর বোঝা নিয়ে সূর্যের আগুনে
দগ্ধ পিঠে।ওদিকে,প্রাসাদে পায়রা ওড়ে।


ঝাড়বাতির ঝালড়ে রুপালি আলো খেলে
হারেমে সুখের কাজল চোখে
রমণ পিয়াসী রমণী পাপড়ি মেলে
অপেক্ষায় থাকে নৃপতি পুরুষের;


রক্ত পান করে যে হৃদপিণ্ড শীতল রাখে!
আগুনের তুলিতে ধ্বংসের ছবি আঁকে !
পূর্বপুরুষের অহংকারে
তাবৎ পৃথিবী নিয়ে আসে পায়ের তলে।


আমি কি দেখেছি সেই রাজাকে কোন কালে?