আমি তো এখানে স্তব্ধ হতে আসিনি।
ধ্বংসের সমস্ত ক্ষত মুছে
উল্লাসে ফেটে পড়তে এসেছি ।
নৈসর্গিক প্রেম ও সুন্দরের
বিপুল তরঙ্গে ভাসতে ভাসতে,
নক্ষত্রের আগুনে অরণ্য  
নাচাতে এসেছি ইশারায়।
খেলতে এসেছি মায়াবী জ্যোৎস্নায়।
আর তুমি,
কুটিল সাপিনী কেমন পেঁচিয়ে আছো
অন্ধকারের উদ্যত গলা!

আমি তো এখানে  
ভাঙনের শব্দ শুনতে আসিনি।  
নষ্ট হাতে ছুঁইনি তোমার অমল উৎস।
তবে কেন ভেঙে পড় এমন
আলতো স্পর্শে স্বচ্ছ কাঁচের মতোন?
আর্তনাদে বিদীর্ণ করো শ্রবণেন্দ্রিয়।
কবোষ্ণ চুম্বনে কেন মুর্ছা যাও এমন?


আমি তো পেরিয়ে এসেছি
                   রৌদ্রদগ্ধ দিন
                       গোধূলি বিকেল আরক্তিম
                                             নিঃশব্দ চরাচর
                                                       অনেক রাত্রি নিদ্রাহীন।


তখনো থেমে থাকেনি পৃথিবীর ঘুর্ণন।
তবে এখন কেন থেমে আছে
জীবনের এই বিপুল আনন্দ উদ্যম?