১.
রেটিনায় আগুন  
মায়াবী প্রহর ভেঙে উড়ে গেছে পাখির কোরাস
আর কেউ ডাকবে না ওইভাবে  
নাগরিক হাঁ–র ভিতর স্বপ্নের আক্ষরিক অনুবাদ
পড়তে পড়তে ভুলে গেছি
কোথায় বেজেছিল রাতের মাদল  
মহুয়ার গন্ধভরা সাঁওতাল পল্লী
নাকি শূন্য করোটি
তারচেয়ে খানিক দূর আত্রাইয়ের উষ্ণ বুকে  
জলের বোতাম খুলতে খুলতে
ক্লান্ত আঙুল অবশেষে ছুয়ে ফেলেছিল
তুমুল ভাংচুর, দহচক্র!
২.
এখন রোজ সকালে চায়ের কাপে
মৃত সব অক্ষর কথা বলে
আমি তাদের চিনতে পারিনা বলে
নামে বেনামে ফিরে যাই ধুলোর পথে
রমণীয় কোলাহল ছলছল বয়ে চলে সবুজ ক্ষেতে
নেমে যাই তার সাথে হাঁটু কাদাজলে
নাটাইয়ের স্বাদগন্ধ হাতে উঠে আসি
ফের হলুদ আলোতে
লাভ ক্ষতির হিসেব কষতে কষতে  
জীবনের মানে দাঁড়ায় মুদ্রার উঠা নামায়
নিবিড় চুম্বনে মুখে কেবল রক্ত উঠে আসে
হিজলের ছায়ায় বসে ভালোবেসে  
আর কেউ ডাকবে না ওইভাবে  
৩.              
যাকে ফিরে পেতে
এক আকাশ দুপুর নিয়ে
বসে আছি হৃদয়ের তপ্ত চরে
নিঃসঙ্গ ডাহুক বেশে
সে কি ডাকবে আবার ভালোবেসে
মায়াবী প্রহরে পাখির কোরাসে