গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে জল আনতে আনতে আমার তৃষ্ণার্ত হাত
অলক্ষ্যে ছুঁয়ে ফেলে তোমার সেই ম্যাজিক মুহুর্তগুলো।  
অদ্ভুত হেষ্রায় কেঁপে ওঠে বুকের আস্তাবল।
ছেঁড়া নিয়তি উল্টে পাল্টে দেখে
পালকহীন ইলেক্ট্রিক পাখিরা কতদূর উড়তে পারে
গুগল ঘেরা সীমানাতে ।      
টাওয়ারে টাওয়ারে উড়ন্ত চুম্বনের ছড়াছড়ি;
সুপারসনিক গতি, বুকের খামে জমাট জ্যোছনা বন্দী।
নেমে যাবে ? যাও...অরণ্যেই হও চিরসুখী।  
আকাশের সমস্ত নীল তোমার ঠোঁটে
মধু নেই পুষ্প পল্লবে
আমি কি শুষে নিবো সমুদ্রের বিষ ?
তরঙ্গের ভাঁজ খুলতে খুলতে তুমি ঠিক জেনে যাবে
কি ব্যাথায় কাতরায় নদী শালিকের উৎসবে
তবুও কারও ভুল সংকেতে ডুবে যাও যদি  
আমারই করতল পাবে।
যে বিশ্বাসে শয্যা পেতেছ কাঁটাতারে ঘেরা পৃ্থিবীতে
বারুদ গন্ধ ছড়িয়ে বাতাসে ফুলেরা সব মূর্ছা গেছে কবে!
দরজা জানালা বন্ধ সুইসাইড নোট হাতে;
কি লেখা আছে তাতে ?
যা বলতে পারনি কোনদিন ব্যক্তিগত কথার ফাঁকে
কার অভিশপ্ত আঙুল ছুঁয়েছিল চিবুক অন্ধকারে ।


সভ্যতা,খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তুমি আর কতোদূর যাবে এইভাবে ?