পশুদের কোন ব্যক্তিগত বিছানা নেই, মানুষের আছে—
এবং মানুষ জানে, কীভাবে তা ব্যবহার করতে হয়
—জীবনে রমণে স্মৃতিতে ও মরণে  
মাথা ভর্তি অজস্র ঘুম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, ফুলে উঠছে চেতনা
এই অন্ধকারে আমি কার কে? না শরীরের না মনের—
কারও কিচ্ছু না !
বুকের কাছে মোচড় দিয়ে উঠছে বিষাক্ত সমুদ্র !  
ঢেউয়ের এই দীর্ঘস্বর,এই বোধ,এই বিশ্বাস,এই ভঙ্গুর আকাশ—
আমার নয়! কেবল তুমিই জাগিয়ে রেখেছ সাড়াটা সময়
রক্তের ভিতর একটা জলহীন শুষ্ক নদী—
খরদুপুরে কেন নিঃশ্চুপ বসে থাকে হাঁস তার ব্যাখ্যা খুঁজি      
আমি তো ঋতুর প্রকোপ,নিসর্গের শোক—
বৃক্ষের ক্ষুধা ও দুঃখ বুঝি; মাংসের সখ্যতার ভিতর
হৃদয়ের সুক্ষ্নতম ফাঁক—তাও বুঝি; শুধু ব্যর্থ হই—
গোপন রন্ধ্রে আলোর তীব্র খেলা,ফুলের শিল্প, কাঁটার ক্ষত
নিবিড় আলিঙ্গন স্পর্শ চুম্বনে!
সন্ধ্যার আগুনে পাখির পালক পুড়লে খুব গভীরে কেউ একজন
ডুকরে কেঁদে ওঠে—সেই কান্নার ভাষা বুঝতে আরও অসংখ্য কান্না
পেরিয়ে আসতে হয়!