আমি তো ছুঁইনি তোমায় কোনদিন!
এমনকি তোমার উদ্ধত যৌবন
বাহুর নিচে ডানা ঝাপ্টায় সর্বক্ষণ
তাকেও করিনি আলিঙ্গন !


জ্যোৎস্না মাখানো ঊরুতে আঁকিনি
প্রেমের বিশুদ্ধ পোর্ট্রেট;
নগ্ন পায়ে হাটিনি কখনো
তোমার দুর্গম ভূগোলে;


তবু তোমার চোখে পাথর গলে!
কী চাও তুমি আমার কাছে?
তোমাকে দেবার মতো
কীবা আছে আমার এখন ?


অথচ এই আমিও একদিন
খনার বচনের মতো সমৃদ্ধ ছিলাম
চোখে ছিল সবুজ সম্ভার,
বুকে রেশমি রুমাল,
প্রেমের সনাতন স্লোকে বাঁধানো
উঠোনে ছিল ফুল আর পাখি ;


তখন আমিও হতে চেয়েছি নূপুরের ধ্বনি
বিস্ফোরিত সাহসে জাপটে ধরেছি বিষধর ফণী
ফড়িঙের উদ্দাম উচ্ছ্বাস তোমার চুলে আর
হতে চেয়েছি সিক্ত বসন তনুর নিখুঁত ভাঁজে !!


এখন আর কী দিতে পারি তোমাকে ?
বড়জোর হৃদয় বিদীর্ণ করা গাঢ় খয়েরী প্রেম
কিংবা এক শ্রাবণ নিবিড় বিরহ !
বুকের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা নিঃসঙ্গ দুপুর,
আর দিতে পারি চৈত্রের ধু-ধু  রোদ্দুর,
মানচিত্র থেকে প্রায় মুছে যাওয়া বিচ্ছিন্ন দ্বীপ

যেখানে আপন সুরে বাজবে জীবনের ব্যর্থ সঙ্গীত।।