তুমি যা কিছু দিয়ে আটকাতে চাইছ আমাকে
এইসব রক্তমাংসের স্তূপ, ভালোবাসার গোপন ফাঁদ
অনেক আগেই আমি পেরিয়ে এসেছি—    
এখন আমাকে দেখে
হো…হো...হেসে ওঠে গণিকার মতো নগ্ন চাঁদ;
ছিন্ন স্নায়ুতে বেজে ওঠে অভিশপ্ত রক্তাক্ত ঘুঙুর !
জীবনের ভিতর ঘুরতে ঘুরতে মধ্যরাত্রির কুকুরের মতন
উর্ধ্বে মুখ তুলে বহুবার আমি ডুকরে কেঁদে উঠেছি,
কারও কোন সাড়া পাইনি—
মৃত্যুর খুব কাছে গিয়ে দেখেছি, তার নীল চোখে
কোন উত্তাপ নেই;কত ধীর শান্ত গভীর—
নিশ্চিন্তে ডুবে যাওয়া যায়!  
অথচ মাথা ভর্তি জোনাকি নিয়ে দেখ কেমন ছুটে বেড়াচ্ছি
আকাশে পাতালে!
যখন তোমার সতীচ্ছদ ছেঁড়া রক্তে ভিজে যাচ্ছে
ক্যান্সারগ্রস্ত একটা পৃথিবী আর তার জৌলুশাক্রান্ত  
আশ্চর্য ম্যাজিকে সমান দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছ তুমি!
মাথার চিমনি ফেটে কালো ধোঁয়া—গলিত মগজ
মিশে যাচ্ছে বাতাসে!
পায়ের কোন চিহ্নই থাকছে না আর মাটিতে!  
কি রেখে যাবো উত্তর পুরুষ?
এক মানুষ অহংকার, সরীসৃপ জীবন,মোহন স্বপ্ন
ক্ষুধা, রক্তমাংস লিঙ্গ!