সমস্ত পৃথিবী ঝুঁকে আছে তোমার মুখের দিকে; গ্রাহ্য করোনি—দীর্ঘ পাতাল ছুঁয়ে শুধু এই অন্ধকারকেই অর্থপূর্ণ করেছ; তীব্র তাড়নায় ভেঙেছ জল; জীবন ও মৃত্যু নিজস্ব ক্ষুধায় ভাগাভাগি করে নিয়েছে আমাকে আর তোমার দুধভাতের শিল্পকলা শুষে নিয়েছে ভাঙা চাঁদ;  
অন্ধ গলির মুখে এইভাবে হাটুমুড়ে বসে থাকতে আমার আর ভালো লাগে না, মাথার ভেতর জ্বরাক্রান্ত শব্দগুলো বড় ভয়ানক হয়ে উঠছে! এতো তীব্র শীত নিয়ে আমি এখন কোথায় যাব? মায়া কল্পনার ঐ সূক্ষ্ণ ফাঁদ গেঁথে ফেলে আমাকে; তুমি মেলে ধর ফুলের শুশ্রূষা; তবুও সুখে আমার এতো বিষণ্ণতা! বুক থেকে সুন্দরবন উধাও হলে আমার সমস্ত ঘুম ডোরাকাটা বাঘের খপ্পরে,বিনিদ্র রাত্রি তীক্ষ্ণ ছুরির মতো ফোটে,মর্মগ্রন্থি ছিঁড়ে নামে আততায়ী বিশ্বাস—! বারবার ঝেড়ে ফেলি তারপরও দৈনিক আহারে উঠে আসে চেতনার হুলোবিড়াল!