রাত্রির গন্ধ নিতে নিতে পরিচিত ভোরের খুব
কাছে এসে দেখি,শিয়রে শুয়ে আছে কুয়াশাচ্ছন্ন নদী!
রক্তনালীতে তিরতির করে ঢুকে পড়ছে ঠাণ্ডা জল;
শুভ্র শিলাখণ্ড ভেদ করে মৎসরূপে নেমে যাচ্ছি
তোমার রহস্য ঘেরা আলোকময় পাতালে !
এই মুহুর্তে—কার্তিকের গাভীন শস্যক্ষেতে আমার কোন
দায় নেই, হাতে পায়ে—কোন গার্হস্থ্য চিহ্ন নেই!
সব চিহ্ন মুছে গেছে মাটি থেকে, রক্ত থেকে,উচ্চারিত
প্রতিটি ধ্বনি থেকে ভাষার দ্যুতি!  
সব দায় ফুরিয়েছে পথের ঘাসের, হৃদয়ের—
বৃক্ষশাখে পাখিদের নিঃশব্দ বিচরণ মনে করিয়ে দিচ্ছে
এক ঘুমন্ত নগরীর গর্ভজাত মৃত সন্তানদের উজ্জ্বল মুখ!
স্রোতে ভেসে যেতে যেতে যারা তোমার ছায়ার আড়ালে
আঁচর কেটেছিল আয়নায়!  
নিজের টুকরো টুকরো প্রতিবিম্ব নিয়ে খেলা ছাড়া
আর কিবা করতে পারি। আমার স্পর্শ ছাড়াই—
মাটিতে শিকড় গেঁড়ে স্বাধীনভাবেই বেড়ে উঠছে
সবুজ চারা, পত্র পল্লবে ছেয়ে যাচ্ছে মানুষের বাগান !