কী করে বুঝব— ডাকিনী চোখ এতো সুন্দর!
হাওয়া—ভাসিয়ে নেয় ফুড়ফুড়ে রহস্য গন্ধ।
তোমার বাগান ঘিরে নির্জন আলো—আত্মঘাতী সুখ
কোন পথে যাবো ?


বনকলমির বেড়া ডিঙিয়ে উস্কে দেবো কাঁটা পুষ্পের ক্ষোভ!
ভুন্ডুল করে দেবো সাজানো গানের পশরা, চাঁদের মুদ্রা—    
অকস্মাৎ কী ভেবে যে উড়ে গেল—ব্যাথার রুমালে ফুটে থাকা
নাম ঠিকানাহীন এক ঝাঁক পায়রা
ভাঙা বাক্সে পড়ে আছি। তবে কি ভুল করে চলে এসেছি ?

জলবালাদের নিষিদ্ধ ডেড়ায় হাত পা সেঁকে
এক ঋতু উষ্ণতা নিয়ে ফিরে যাবো বরফ জীবনে
এমনটায় কথা ছিল কি?
কোন রক্ত দিয়ে ধুয়ে নেবো মাংসের এই নরম স্বাদ!
বুঝে নেবো বর্তমান মুদ্রার বাজারদর, অপ্রতিরুদ্ধ চুম্বনের ধার
সামলে নেবো জিহবার উদগ্র লোভ—


দাঁড়ের শব্দে জেগে ওঠে নদী। করোটি ভেঙে উন্মাদ ঢেউয়ের শিস—
বুঝিয়ে দেয় বিকারগ্রস্ত স্রোতে ভেসে যাচ্ছে
জলের পান্ডুলিপি নক্ষত্রচূর্ণ রাত—সনাতন পদাবলী