এই মধ্যনিশীথে
বুড়ো বটগাছটার নিচে বসে
বাঁশি বাজায় কে? সে কি জানে?
বাঁশঝাড়ে প্যাঁচা এখনো
চুপটি করে বসে আছে।
ঝোপের আড়ালে আমাদের
বোন-দিদিরা চিরকাল শুধু হারিয়ে যায়;
কেউ কেউ গাছের ডালে
ঝুলে থাকে পেয়ারার মতো,
আমলকির মতো লুকিয়ে থাকে
পাতার আড়ালে;
কেউ কেউ আবার চেরিফুলের মতো
টুপ করে খসে পড়ে মাটিতে।
ক’জনে পারে বকুল হতে ?  
বাতাবি নেবুর গন্ধে
এখনো কি ঘুম ভাঙে চপল হরিণীর ?
নক্ষত্রের পদধ্বনিতে কেঁপে ওঠে মাটি!
সন্ত্রস্ত খরগোশ দৌড়ে পালায়
আমাদের পলক পরার আগেই !  
তবে কিসের আশায়...  
ঘোর বরষায় ব্যাপক উল্লাসে পদ্মপাতায়
লাফিয়ে ওঠে ব্যাং; দক্ষিণা বাতাসে
দুলে দুলে ওঠে কিশোরী আতাফল;
ধান খোঁটে চড়ুই? প্রবল ঝড়ে মা পাখিটা
ডানা দিয়ে আগলে রাখে অসহায় ছানা।
নিদাঘ দপুরে জলে এক পা ডুবিয়ে
প্রতীক্ষায় থাকে বক; আকাশে মেঘ জমলেই
তবে কেন তাকে আবার উড়ে যেতে হয়?
অপেক্ষায় থাকতে থাকতে মেঘাচ্ছন্ন দিনে  
মানুষও একদিন এইভাবে উড়ে যায়।