তোমার রক্তচক্ষু দেখে হেসে উঠি।
ভালোবাসার নামে জল কাদা থুতু কফ গায়ে মেখে বসে আছি।  
জানলা খুলে রৌদ্রকে ঢুকতে দিয়েছি ঘরের ভিতর,
এই দুপুরটা একান্তই আমার—গাছের পাতা নড়লেও টের পাই;
জানতে চাই, কী অভিশাপে মরে আছে ফড়িং?
ঐ লাল ঘুড়িটা কেন উড়ে এসে বসলো তোমার এন্টেনায়?  
তোমার নাম জপতে জপতে যাদের হা-করা মুখে
গুচ্ছগুচ্ছ ফুল হাতে হুড়মুড় ঢুকে পড়ল নানান রঙের প্রজাপতি  
তাঁদের বুকে সর্বনাশের চিহ্ন দেখে আঁতকে উঠি!
হাড়কাঁটা পূর্ণ কবর শুয়ে আছে পাশাপাশি
একসাথে হাঁটতে হাঁটতে যে সমস্ত জীবন্ত ধ্বনি
ছেড়ে গেছে আমাদের পৃথিবী তারা আবার কবে প্রতিধ্বনি হয়ে
ফিরে আসে সেই অপেক্ষেয় দরজায় কান পেতে আছি।    
বৃষ্টির মতো জ্যোতস্না এসে ভিজিয়ে দেয় ঘর গেরস্থালি—
ভিখিরির চোখেমুখে উজ্জ্বলতা দেখে ভাবি
এবার বুঝি অবস্থা ফিরল,আদতে কাঙাল জুটেছে আরও!
যদি পারো একটা বিকেল তোমার করে নিও
আমি তো চাই, মনে প্রাণেই চাই—
একটা সন্ধ্যা একান্তই তোমার হোক।