তুমি তো খালি পায়ে মাটিতে হাঁটতে
সবুজে গড়াগড়ি খেতে খেতে আরো সবুজ হয়ে উঠতে
তালপাতার বাঁশি বাজাতে বাজাতে ছুটতে
দু’হাতে বৃষ্টি ফোঁটা ধরে ধরে শরীরে মাখতে
পুড়ে যাওয়ার ভয়ে সহজে রৌদ্রে যেতে না
শুধু ছায়া খুঁজতে
স্বপ্ন দেখতে দেখতে দেখতে ঘুমের ঘোরে ডিগবাজি খেতে  
যে মেয়েটিকে খুব ভালো লাগতো
তাকে এক নজর দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা
মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে
আর গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে কখন যেন
পাখি হয়ে যেতে
তুমি তো গোধূলির রাখাল ছিলে
আকাশ মাটিতে ঠেকলে তুমি বাড়ি ফিরতে
এখন কি তুমি বাড়ি ফির?


এখন তুমি কেমন ফ্যাকাসে হলুদ  
তোমার শরীরে মাটি ও শস্যের ঘ্রাণ নেই
বৃষ্টি দেখলে ভয় পাও- সর্দি কাশি ইত্যাদি ইত্যাদি ...  
এখন তুমি রৌদ্র খোঁজো, ছায়ায় শুকিয়ে যাও  
শামুকের মতো কেমন গুটিয়ে যাও আলোয়
নিজেকে খুঁজে বেড়াও অত্যাধুনিক সপিং মলে
ট্রাফিক সিগনালে, রেস্তোরায়, বারে, ফুটপাতে
আর নরম মাংসের স্তুপে
কোথাও কি আছো তুমি কোনভাবে ?
তুমি তো গোধূলির রাখাল ছিলে!