কার ব্যক্তিগত হাঁস এসে খেয়ে গেল আমার সোনার ধান?
নাড়ি পোতা ভিটেয় এখন মাছেদের রাজনীতি জমজমাট—
যে লোকটি কুকুরের মতোন এক ঠ্যাং তুলে পেচ্ছাব করে দেয়
রোজ অন্তত একবার নব্য গণতন্ত্রের সিলমারা দেয়ালে  
তার অণ্ডকোষ খুলে ঝুলিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে  
শহরের কতিপয় মাংসের দোকানদার
তাদের সৌখিন হাতে শুকিয়ে যাওয়া শিল্পের সাদা রক্ত দেখে
বমি করে দিয়েছি নিজের শরীরেই—ওহঃ—কী অসহ্য!  


চারপাশে ইঁদুর দৌড়—আলোর তীব্র ছটায়
থেঁতলে যাচ্ছে পিষে যাচ্ছে সুসজ্জিত প্রতিটি ব্যক্তিগত মুহূর্ত!
এক একটি জীবন জ্বলন্ত সিগারেট—প্রতি টানেই ফুরিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ
তবু শেষ টানের অপেক্ষায়—
জিভ কেটে রেখে দিয়েছি হাত ব্যাগে, চোখ খুলে রেখেছি পকেটে
যদি বলে ফেলি ফাও কথা, দেখে ফেলি ভুল, সত্যের মতো— সাংঘাতিক কিছু;
তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যাবে—চারপাশে শুধু খবর আর খবর !


জাবর কাটছে সবাই সমান তালে— খবরের টুঁটি চেপে ধরেছে খবর—
ঘুম নেই শান্তি নেই;  হাড়ের ভিতর গান—ভাঙা হারমোনিয়াম একটানা সুর—
একটা জীবন এভাবেই উৎরে যাবে অদ্ভুত ছায়ার পিছে পিছে!  
বিধ্বস্ত স্নায়ুতে সিরিঞ্জ সিরিঞ্জ বিষ; রক্তের ভিতর এতো এতো বিষণ্ণতা নিয়ে
কোথায় কোথায় আর যাওয়া যায় বলতো—তোমার বাগান ছাড়া  
মানুষ তো ফুলের কাছে, মূলের কাছে, জীবনের কাছে যেতেই চাইছে না
অথচ নির্বিঘ্নে বেঁচে থাকা চাই, দুধে ভাতে থাকা চাই, বিশুদ্ধ পানীয় শস্য চাই


কতো চিন্তা, কতো কাজ, কতো দৌড়ঝাঁপ ফেলে শুধু তোমার কথা ভাবি
আমার তো কিছু একটা চাই—তোমার মতো ঝাঁঝালো কিছু—
হাড়ের ভিতর নতুন গান বাজাবো !