সেই যে খরগোশের পায়ে পায়ে  
অরণ্য নামল পৃথিবীর চোখে; আমি-
তীব্র তামস বুকে শয্যা পেতেছিলাম
নক্ষত্র স্রোতে; তখনি তুমি এসেছিলে
আমার সবুজ ক্ষেতে ঠাণ্ডা হৃদপিণ্ডে  
এন্টার্ক্টিকার সমস্ত বরফ ডানায় মেখে
নাতিশীতোষ্ণ জীবনের স্বাদ নিতে ।


তারপর কতোদিন এই হৃদয়ের সরোবরে
দীর্ঘ দুপুর পায়ে বেঁধে সাঁতার কেটেছ ধীরে;
কিন্নর কণ্ঠে তুলে নিয়েছ গোধূলির গান
পালকে উন্মাদ বসন্ত উঠেছে নেচে।
  
তোমার নরম মাংসের ফাঁকে খুব গোপনে
রেখেছিলাম দুঃখ সুখের উদ্বৃত্ত শস্যদানা;
রক্ত আর ঘামে পস্পরের উত্তাপে
স্বপ্নের অংকুরে ভরে উঠেছিল জীবনের চর।


তারপর সব লেনদেন শেষ করে একদিন
ফিরে গেলে আপন নীড়ে সেই ঠাণ্ডা হৃদপিণ্ডে
জীবনের চরে দুটি কমল পালক ফেলে ;
এখন দীর্ঘ দুপুর খুব ধীরে সাঁতার কাটে
আমার স্মৃতির সরোবরে । আমি জানি,
হৃদয় দাহ্যবস্তু নয় তবুও তো  জ্বলে!