ক্রমাগত ভাঙ্গনের শব্দে বিহ্বল আলোর জোনাকিরা
একে একে ঢুকে পড়ছে ঝাউপাতা অন্ধকারে।  
সুদৃশ্য মোড়কে বাঁধানো আত্মা এখন ভোগ্যপণ্য
রমণীদের হাতে হাতে বিজ্ঞাপিত হচ্ছে
যেন পিরিচে সাজিয়ে রাখা ফালি ফালি কাটা তরমুজ।
কংক্রিটে কংক্রিটে প্রতিধ্বনিত ঘাতকের রক্তাক্ত হাসি,
অশ্লীল জৈবগন্ধ মিশে যাচ্ছে মাটিতে,বায়ুতে, আপক্ক মগজে...  
আর রাত্রির নিনাদে জলের নাভিতে ফুটে উঠছে জন্মদাগ।
মুক্তির অস্বাদে নিসর্গের জরায়ু থেকে চুইয়ে পড়ছে
চাঁদের পিচ্ছিল শরীর...তরল জ্যোৎস্না...  
বিশুদ্ধ যাপন পদ্ধতির সন্ধানে খুলির ভিতর অজস্র বুদ্বুদ,
গোধূলির নির্যাস ও ফেনায়িত ঢেউ নিয়ে
প্রমত্তা নদীর মতো
মৃত্তিকার পাঁজর ভেঙে ছুটছি ত্রিভুজ মোহনায় ...
চিরন্তন মুক্তির অভিলাষে...