চিঁড়ে চ্যাপটা দিন—
ভিতর থেকে বেরিয়ে এলো কবির কঙ্কাল
প্রাগৈতিহাসিক হাড়ে হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে
কোন দিকে যাচ্ছ?  
চাঁদের বদলে আমাকেই চুমু খাও— নারী  
তোমাদের কপালে আমিও টিপ পরিয়ে দিতে পারি
বুকে ধারণ করতে পারি জলন্ত রক্তকরবী
ঘণ্টা বাজলে খুলে ফেলবো জড়ো করোটি,
একবার কাছে এসো—
মন্ত্রের মতো উচ্চারণ করো ‘ভালোবাসি’,‘ভালোবাসি’


জলের বিভ্রম—স্তনবৃন্তে দিকশূন্য পৃথিবী—নিঃশব্দ
ব্যক্তিগত জিরো আওয়ার নিয়ে বসে আছি
টুকরো টুকরো হাওয়া—ভাসিয়ে নিচ্ছে কালো অক্ষর,
লাফিয়ে উঠছে সঙ্গমে ব্যর্থ মায়া হরিণ!
ঘরবাড়ি ঘিরে ফেলেছে খুনির ছায়া, গানের মতো
রক্ত বেজে উঠছে ধমনীতে!
নাচতে নাচতে তুমি কি ক্লান্ত হবে না কখনও সুখী ময়ূর ?
উপড়ানো চোখ হাতে নিয়ে তুমি কার হয়ে সাক্ষী দেবে?
ভুলে গেলে আত্মধর্ষণ শেষে গোপন স্নান  
আলোর চেয়ে অন্ধকারই বেশি উজ্জ্বল মনে হতো !


তোমাকে একবার ছুঁয়েই
গত জন্মের সব প্রেমিক পাথর হয়ে গেছে, নিজেকে
সঁপে দেওয়া ছাড়া আমার আর কি...বা করার আছে !