তোমার নামে বেতারে গান বাজছে দিনভোর।
তুমুল করতালিতে ফেটে যাচ্ছে হলরুম, শহরের ভিখারিরা
থালাবাটি কম্বল গুটিয়ে
গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল হাতে বসে আছে রাস্তার দু’ধারে!


এমন সময়—এমন সময় হঠাৎ
জলের সমস্ত মাছ ডাঙায় উঠে তোমাকে কুর্ণিশ করে
নতশিরে নেমে যাচ্ছে পুনরায় জলে!
ল্যাম্পপোস্টগুলো নির্দ্বিধায় কথা বলছে পরস্পরের সাথে
রাষ্ট্রযন্ত্রের বর্তমান ক্রিয়াকলাপ নিয়ে।
গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অস্তিত্ব নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে
                                      বট-পাকুড়ের মধ্যে


জল কোন পথে গড়াবে তা ঠিক করবে কে?
তোমার আগমনী বার্তা পেয়েই
সংবিধানের চারটি স্তম্ভ নড়েচরে বসছে;
যাবতীয় বেচা বিক্রি ফেলে শিল্প সাহিত্য নিয়ে
আড্ডায় মেতে উঠছে শহরের সব ব্যবসায়ী,দোকানদার
বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস রচনা ও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য সংরক্ষণে—
আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে
বিস্তর আলোচনা চলছে পাখিদের শিবিরে শিবিরে—


ব্যাঙেরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে শহরময়
আসন্ন বৃষ্টির খবর।
কবিতার খাতা থেকে শব্দরা লাফিয়ে লাফিয়ে
বেরিয়ে আসছে রাজপথে— স্লোগানের মতো উজ্জ্বল,
নানা অবয়বে দৃঢ় মুষ্টিবদ্ধ হাতে হাতে;
তোমার গন্ধ পেয়ে— মধু আহরণ ছেড়ে  
গুনগুন করছে মৌমাছি; ঘাসের শয্যায় গড়াগড়ি
প্রতিটি ফুল পাপড়ি মেলে হেসে উঠছে স্বমহিমায়;


বিকেল ঘিরে ফেলছে কৃষ্ণচূড়ার লাল;
জোনাকীর শীতল আলোতে ভরে উঠছে সন্ধ্যার নরম আঁধার;
চুম্বনের লোভে নদীর শিয়রে ঝুঁকে আসছে অষ্টাদশী চাঁদ!


তোমার কথা ভাবতে ভাবতে
মধ্যরাত্রে এক কবির কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে  !