কী আছে তোমার উৎসমূলে, জীবন পদ্মকমল
কাঁপছ মৃদু হাওয়ায় আর ভুলেছ সেই সব পাতার মর্মর
                              বৈঠকি সুর,বৃষ্টির গান,
তুমুল নাচ, স্মৃতির সারস অথবা শান্ত সরোবর  
মরাল মৈথুনে সফল দুপুর, ভাসমান বকুল,
                       জলের স্বতন্ত্র মুদ্রায় হরিণীর পুন্যস্নান !  
আমি তো দেখেছি তোমাকে, রোদে ও জ্যোৎস্নায়
ঠিক একইভাবে হেসে উঠতে পারনা কখনই
                         এক উন্মত্ত পতঙ্গ যেন
আলো ও আগুনের পার্থক্য না বুঝে মুক্তির উল্লাসে
মাতিয়ে রেখেছ আলুথালু সাংসারিক ভূষণ
আর যাঞ্ছা করেছ প্রতিনিয়ত পত্র-পুষ্প-ফলে সমৃদ্ধ যাপন পদ্ধতি  
আবার মৃত্যুর চেয়ে বড়
গাঢ়নীল স্বপ্ন দেখে আচম্বিতে মহাকাব্যিক ঘুম ভেঙে গেলে
মায়ের কোল ভেবে ঝিনুকের খোলসের ভিতর ঢুকে পড়েছ নিঃসঙ্কোচে
তারপর বেরিয়ে এসেছ থকথকে তরল লেপ্টে গেছো ঘাসে ঘাসে
                               শুকিয়ে গেছ,জ্বলে গেছ রোদে
আমি তো দেখেছি তোমার বিবর্ণ স্বরূপ
ভিতরে এক খ্যাপা বাউল নিয়ে অজানা দিশায় পথঘাট প্রান্তর ছাড়িয়ে যাচ্ছ
বটের ছায়ায় বসে কিছুক্ষণ একতারা বাজালে
                                             তারপর আবার...
যেতে যেতে দু’হাতে ছড়িয়ে দিলে মুক্তর মতো চকচকে দিন ও রাত্রির বীজ
একবারও ভাবনি উৎপন্ন শস্য দানা খুঁটে খাবে কোন চড়ুই
কেবল হতে চেয়েছ সফল সুন্দরের কৃষক


কী আছে তোমার উৎস মূলে জীবন কঠিনশিলা
তোমাকে ভাঙবে, গুড়ো গুঁড়ো করবে কে, কার সাধ্য আছে এমন  
কোন মহাকাল ভাসিয়ে নিবে তোমাকে অতল জলে এখন...