ইতিহাসের অন্ধকার ব্যালকোনিতে
দাঁড়িয়ে নক্ষত্র পতনের শব্দ শুনি
রোজ রাত্রে ;
মনে হয় পেরিয়ে গেছি
জীবন –মৃত্যুর বিভেদরেখা!  
কর্ণ কুহোরে পৌঁছে না আর
কারো করুন আর্তনাদ,
সদ্য নবজাতকের বিশুদ্ধ ক্রন্দন;
কেবল পশুর জংলী স্বরে কাঁপে
বেহুদা বাতাস।


বিদীর্ণ দর্পনে প্রদর্শিত হয়
টুকরো টুকরো প্রতিবিম্ব আমার-
স্বদ্বেশ,স্বাধীনতার!
পূর্বসুরির রক্ত-সম্ভ্রমে অভিনন্দিত
যার জন্মক্ষণ।  

আর এখন,
হন্তারকেরা নির্বিঘ্নে হেঁটে যায় ফুটপাতে,  
তাদের বে-আবরু হাত,
বিষ স্পর্শ আমার -স্বাধীনতার বুকে,
পিঠে-পাঁজরে; আগুনের ককপিটে
বসে নির্দেশ দেয় ‘লালসালু’র মজিদ,
ঝান্ডা উড়াও-সময় এখন আমাদের!
কি ভয়ানক দুঃসময়...!


নতজানু সবায় এখন
এই বিরুদ্ধ সময়ের কাছে!
নতুজানু সত্য মিথ্যার কাছে!  
নতজানু প্রেম বন্য ক্ষুধার কাছে!
নতজানু পিতা সন্তানের কাছে!
ঈশ্বর ও আজ নতজানু
মানুষের হিংস্রতার কাছে!


সোনালি ডানার স্বপ্ন শংখচিল
উড়ে গেছে কবে?
কোথায় উধাও হয়েছে আকাশ!
কোন দূর সমুদ্র সংগমে ?    
এসব খবর কে রাখে?
কে চায় যাঁতাকলে পিষ্ট হতে?


এই তো আমার স্বদেশ!
যার জানু  জাপটে ধরেছে
বিষাক্ত সাপ-
ছোবলে ছোবলে ক্ষতবিক্ষত
এখন সমাজ, রাজনীতি, দর্শন,
শিক্ষা ও সংস্কৃতি।