শ্রদ্ধেয় কবি “বিনয় মজুমদার” স্মরণে—
(১৭ সেপ্টেম্বর কবির জন্ম তারিখে লেখা)


তার নাম ধরে ডাক দিলে জেগে ওঠে সমুদ্র
জ্যোৎস্না কাটে জলের ফেনা—  
ধর্ম জানে সব পবিত্রতার মানে—এতো আবর্জনা নিয়ে
তার কাছে যাওয়া যায় না, যেতে হলে
সমস্ত রক্ত ধুয়ে মুছে
শূন্য হতে হয়—রিক্ত হতে হয় আপাদমস্তক।  


তবু তার কাছে ভেসে ভেসে চল সুগন্ধীফুল—
খেজুর পাতার পাটিতে শুয়ে চিত হয়ে চাঁদ দেখি  
মানুষের জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে ভুলে গেছি
বৃক্ষের মায়া, বন্দনা—
সমস্ত অঙ্গে এতো সবুজ নিয়ে কেন যে
মুখ ফিরিয়ে আছে?
না হয় ভুলই হয়েছিল—হাতে পায়ে ধরি
এবার চলো, একসঙ্গে বসে পেট পুরে খাই।

জলকাদা মাড়িয়ে তার কাছে চল—হারিকেনজ্বলা রাত
সুখ দুঃখের কথা কব—
শিশুর মুখের দুধের বাটি বিড়াল ছানায় খেয়ে গেল
বলে আসি পোষা কুকুরটা এখনও ফেরেনি বলে
গৃহিনীর মন খারাপ—

ছেলেটার হোমওয়ার্কের খুব চাপ
রাগে,কৌতুহলে ওর চোখ আটকে আছে
ক্যালেন্ডারের লাল কালো ঘরে  
দিন মাস বছর ভালোই গুনতে শিখেছে
নামতায় শুধু ভুল করে
বাবার মতো অংকে খুব কাঁচা, মেলাতে পারে না সহজে  
জীবনের টুকিটাকি হিসাব নিকাশ


তবু হাতে কাটাকম্পাস নিয়ে
সারাদিন খেলে, রোদ হলে ছাতা মেলে ধরে


এইসব বলা যায় তার কাছে !
এতো তুচ্ছ সাংসারিক আশয় বিষয় !
চল ফিরে যাই--
কিচ্ছু বলার দরকার নেই— সে বসে বসে ভাবুক
কেন এলাম আর কেনই বা ফিরে যাচ্ছি।