সাজানো এই ঘর গৃহস্থালি নিয়ে কার কাছে যাবো?
এতো শুষ্ক নদীহীন এই মানুষ!  
পথে পড়ে আছে বিষণ্ণ ধান, চড়ুইয়ের শোক!
বুকে পাথর ঘষতে ঘষতে জেগে উঠছে সরীসৃপ;  
বিরাট অসুখ—এক অন্ধযুগ থেকে আরেক অন্ধযুগ!    
ক্ষয়ে যেতে যেতে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিই  
অবশিষ্ট রক্তমাংস বীর্য—আগুন তৃষ্ণা!  
স্বাধীন আকাশ খুঁজতে খুঁজতে যারা পাখি হয়ে গেল;
—ডানায় মানুষের গন্ধ!  
বন্য ছায়ায় ঘাসজীবন চেয়ে মাথা খুঁটছে দিবারাত্রি !  
ভেবেছিল আদিগন্ত সবুজ হবে—হলো না;
শুধু দেয়াল, দেয়াল ঘিরে ফেলল দেহমানচিত্র,পুষ্প বৃক্ষ!
শব্দের পর শব্দ ভাঙতে ভাঙতে
বুকে উঠে আসছে নগ্ন বনভূমি, শীৎকার,পশুবন্দনা!
একটা ভিন্ন সমাজভাষা; অবরুদ্ধ চেতনা; রক্তলোলুপ;
সৎকার উৎসব—অসুস্থ বর্ণমালার বাইনারি কোলাহলে
মেতে উঠছে অন্তঃস্থিত নিসর্গলোক!
সাজানো এই ঘর গৃহস্থালি নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো ?