আমি তখন মাছেদের সাথে চুটিয়ে গল্প করছি—
বর্ষার স্রোতে ভেসে আসা
সংশয়াপন্ন দলাপাকানো পিঁপড়েদের জীবন নিয়ে
মৌমাছি জীবন পেলে কী করতো মানুষ— হূল ফুটানো স্বভাব !
পাখিদের খুঁটে খাওয়া সাংসারিক বিষয় আশয়, ভাষার ব্যঞ্জন—
কী রূপে ধরা দেয় কবির মানসপটে
হলদে রোদ— ঘাসেরা মুখ টিপে হাসছে, উচ্ছ্বল চারপাশ—
তোর কথা উঠতেই হঠাৎ কোত্থেকে যে মাথার ভিতর
একটা উজ্জ্বল প্রজাপতি উড়ে এলো
বালকের লেজে সুতা বেঁধে একটা ফড়িং দৌড়ে বেড়াচ্ছে
নদীর কিনার ঘেঁষে
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ—ঝড়ের আভাস, বৃষ্টি শুরু হতেই কী পাপে যে
পলক পরার আগেই বজ্রবিদ্যুতে ঝলসে গেল
সেই নিঃসঙ্গ তালগাছটা— কতো কিছুর সাক্ষী ছিল!
হারানো বাছুরটা খুঁজে না পেয়ে যে বালিকা কাঁদতে কাঁদতে
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এলো
একদিন সেও হারিয়ে যাবে মানুষের জংগলে প্রকাশ্য দিবালোকেই
ভাবতেই গা-হাত-পা শিউড়ে উঠল,
পাঁজরে কান্নার চোরাস্রোত, কতো গোপন দুঃখ থেকে গেল
শরীর মনের আনাচে কানাচে
তোর কথা মনে হলেই ফুরফুরে হাওয়া বয়, বুকের ওপর ছলকে ওঠে
এক যমুনা জল—মাছেদের সাথে লুটোপুটি
ঠাণ্ডা রক্তে পাথর ঘষে আগুন জ্বালিয়ে দেখি কতোটা অন্ধকার
এখনো বাকি—